-(57)-685d2a0e16d11.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
দেশের বীমা খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় দুর্বল ও সংকটগ্রস্ত বীমা কোম্পানিগুলোকে সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষে ‘বীমাকারীর রেজল্যুশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ শিরোনামে একটি খসড়া তৈরি করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, আইডিআরএ যেকোনো বীমা কোম্পানির আর্থিক অবস্থার পর্যালোচনা করে অবসায়ন, একীভূতকরণ, শেয়ার বিক্রি বা প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান, পরিচালক কিংবা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অপসারণের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে খসড়ায়।
এরই মধ্যে আইডিআরএ ১৫টি দুর্বল জীবন বীমা কোম্পানিতে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সংকটাপন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘ব্রিজ বীমাকারী প্রতিষ্ঠান’-এর মাধ্যমে সাময়িকভাবে সরকার পরিচালনায় নিতে পারে। এসব ব্রিজ কোম্পানির মেয়াদ হবে দুই থেকে পাঁচ বছর এবং সরকার চাইলে পরে তৃতীয় পক্ষের কাছে শেয়ার হস্তান্তর করতে পারবে।
গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় একটি ‘বীমা সুরক্ষা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাবও খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা প্রয়োজনে বকেয়া দাবির নিষ্পত্তিতে ব্যবহৃত হবে।
আইডিআরএ জানায়, অধ্যাদেশটি ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশের ছাঁচে তৈরি হলেও এখানে শেয়ারহোল্ডার ও পাওনাদারদের ক্ষতিপূরণের দিকটিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
বর্তমানে বীমা খাতে ১১ লাখ গ্রাহকের প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আটকে আছে। অনেক কোম্পানির শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি পলাতক বা অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত।
যেসব কোম্পানিকে পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে সেগুলো হলো
সানফ্লাওয়ার লাইফ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, সানলাইফ, পদ্মা ইসলামী লাইফ, প্রগ্রেসিভ লাইফ, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ, বেস্ট লাইফ, হোমল্যান্ড লাইফ, প্রাইম ইসলামী লাইফ, যমুনা লাইফ, ডায়মন্ড লাইফ, স্বদেশ লাইফ, গোল্ডেন লাইফ, বায়রা লাইফ এবং এনআরবি ইসলামিক লাইফ।
এই কোম্পানিগুলোর গ্রাহকদের কাছে ২০২৪ সালের শেষে অপরিশোধিত দাবির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।
আইডিআরএ জানিয়েছে, খসড়াটি শিগগিরই তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে জনমত গ্রহণ করা হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।