উচ্চ খেলাপি ঋণ ব্যবসার পরিবেশ সংকুচিত করছে : ডিসিসিআই

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১৭:৫৪

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, ব্যাংক খাত শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হলেও বর্তমানে এটি উচ্চ খেলাপি ঋণ, দুর্বল প্রশাসন ও স্বচ্ছতার অভাবে জর্জরিত।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ দশমিক ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এটি অনাদায়ী ঋণের ২৪ শতাংশের বেশি। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে গেছে এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ সংকুচিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) ডিসিসিআই আয়োজিত ‘ব্যাংক খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ : ঋণ গ্রহীতার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তাসকীন আহমেদ বলেন, বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ মাত্র ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে এবং মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য চরম চাপ সৃষ্টি করছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর মুদ্রানীতি ও কাঠামোগত সংস্কারের পাশাপাশি ঋণ পুনর্তফসিলের সময়সীমা ৬ মাস বাড়ানো এবং দীর্ঘমেয়াদী ঋণের জন্য ১ বছরের গ্রেস পিরিয়ড সংযুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (মুদ্রানীতি বিভাগ) ড. মো. ইজাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ঋণদাতা ও গ্রহীতা উভয়কেই দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি আনুষ্ঠানিক খাতকে সুরক্ষা দিতে নীতিগত সমন্বয়ের ওপর জোর দেন। এছাড়া,সুদহার কমিয়ে এসএমই উদ্যোক্তাদের স্বস্তি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মত দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. ইজাজুল ইসলাম বলেন, অতীতে আর্থিক খাত কিছু পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল যা অস্বচ্ছতা ও অস্থিরতা তৈরি করেছে। তবে জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আস্থার পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে ৪২ হাজার কোটি টাকা বাজারে সরবরাহ করেছে এবং মুদ্রা বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
- এএইচএস/এটিআর