Logo

অর্থনীতি

প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ২১:১৬

প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

ছবি : সংগৃহীত

২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে এসে প্রবাসী আয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে বৈদেশিক রেমিট্যান্স দাঁড়িয়েছে ৩০,৩২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের ২৩,৯১২ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি। 

সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে দেশে এসেছে ১১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পুরো জুন মাসে (১-৩০ জুন ২০২৫) প্রবাসী আয় হয়েছে ২৮১৮ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের জুন মাসের একই সময়ের ২৫৩৯ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এক ক্ষুদে বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ ডলার সমান ১২৩ টাকা ধরে হিসাব করলে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৭ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের রেমিট্যান্স ছিল প্রায় ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে সরকারি প্রণোদনা, হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি এবং বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ দেওয়ার কারণেই রেমিট্যান্সে এই প্রবৃদ্ধি এসেছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহে এই উল্লম্ফন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

২০২৪ সালে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৯২ কোটি (২১ দশমিক ৯২ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২২ সালে তারা দুই হাজার ১২৭ কোটি ডলার বা ২১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০২১ সালে প্রবাসীরা রেকর্ড দুই হাজার ২০৭ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

অন্যদিকে ২০২০ সালে দুই হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ২০১৯ সালে এক হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলার, ২০১৮ সালে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, ২০১৭ সালে এক হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলার এবং ২০১৫ সালে এক হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

  • এএইচএস/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

রেমিট্যান্স

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর