অর্থ উপদেষ্টা
আর্থিক খাত সংস্কারে নানা প্রতিবন্ধকতা আছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৬:৩০

ছবি : সংগৃহীত
আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও, সরকারের নিজস্ব উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রস্তাব—উভয় মিলিয়েই কাজ এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সামিট’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “অনেকে মনে করেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর চাপেই সংস্কার হচ্ছে। বাস্তবে তা নয়। সরকারও নিজ উদ্যোগে কাজ করছে। তবে যেকোনো ভালো পদক্ষেপ হোক, তা দেশীয় হোক বা বিদেশি—আমরা কেন গ্রহণ করবো না?” তিনি বলেন, “স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে অডিটিং এবং অ্যাকাউন্টিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সততা ও পেশাগত মানও সবচেয়ে বড় বিষয়।”
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন,“প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় মানহীন কাগজপত্র জমা দেয়। এনবিআরের মতে, প্রতি ১০০ করদাতার ৭০ জন শূন্য ট্যাক্স রিটার্ন দেয়—এটা অবিশ্বাস্য। এদের তথ্য খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আবার ১৮ লাখ রিটার্ন জমা পড়েছে বললেও তাতে গড়মিল থাকতে পারে। অডিটে ‘অন্তর দৃষ্টি’ দিয়ে কাজ করতে হবে।”
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, “নিবন্ধনপ্রাপ্ত কোম্পানির নির্ভরযোগ্য অডিট রিপোর্ট ছাড়া বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জন সম্ভব নয়। তাই অ্যাকাউন্টিং খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে গড়মিল দেখা যায়। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি (রিস্ক বেসড সুপারভিশন) পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর হবে।”
তিনি বলেন, “দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে অডিট রিপোর্টে স্বচ্ছতা এবং সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ না করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, “চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে অডিট করতে গিয়ে তথ্য-সহযোগিতা পাওয়া যায়নি, যা দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে।”
এএইচএস/এএ