সাবেক ৩ গভর্নরসহ ৬ ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১১:০৪

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুদকের একটি মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম জানান, জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৯৭ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘আনন ট্যাক্স’ নামে একটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানের নামে এই ঋণ অনুমোদন করা হয়েছিল।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি বিশেষ দল এবং পরে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, ড. বারকাত ক্ষমতার অপব্যবহার করে অযোগ্য প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ ঋণ অনুমোদন করেন, যার বড় একটি অংশ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, একই দিনে দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও ছয় সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তলবকৃত সাবেক গভর্নররা হলেন, ড. আতিউর রহমান (রিজার্ভ চুরি কাণ্ডের সময় দায়িত্বে ছিলেন), ফজলে কবীর (এস আলমসহ বড় গ্রুপকে অনৈতিক সুবিধা প্রদান) ও পলাতক আবদুর রউফ তালুকদার (বর্তমান সরকারের শেষ সময়ে দায়িত্বে ছিলেন)।
তলবকৃত ডেপুটি গভর্নর ও কর্মকর্তারা হলেন, এস. কে. সুর চৌধুরী, এস.এম. মনিরুজ্জামান, আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, আবু ফারাহ মো. নাছের, মাসুদ বিশ্বাস (সাবেক প্রধান, বিএফআইইউ), কাজী সায়েদুর রহমান (সাবেক প্রধান, বিএফআইইউ)।
দুদক এই ব্যক্তিদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি এবং মোট ২৩ ধরনের নথিপত্র তলব করেছে। আজ (১১ জুলাই) ডিবি ও দুদক কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে ড. বারকাতকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
- এএইচএস/এটিআর