
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে জুন মেয়াদে এই খাত থেকে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।
প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশেররপ্তানির প্রধান গন্তব্য ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যেখানে মোট রপ্তানির ৫০ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার (১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ), যুক্তরাজ্যে ৪.৩৫ বিলিয়ন ডলার (১১.০৫ শতাংশ ) এবং কানাডায় ১.৩০ বিলিয়ন ডলার (৩.৩১ শতাংশ )।
বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, কানাডায় ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৯ দশকি ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে কম ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ । ইউরোপের ভেতরে জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে ৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে। এরপর রয়েছে স্পেন (৩ দশমিক ৪০ বিলিয়ন), ফ্রান্স (২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন), নেদারল্যান্ডস (২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন), পোল্যান্ড (১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন), ইতালি (১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন) এবং ডেনমার্ক (১ দশমিক ০৪ বিলিয়ন)।
নেদারল্যান্ডসে ২১ দশমিক ২১ শতাংশ, সুইডেনে ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, পোল্যান্ডে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং জার্মানিতে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের সাফল্যের ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা ও নতুন বাজারে সম্ভাবনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র (আইটিসি) এর তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক পোশাক বাজারের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে অপ্রচলিত বাজারের অংশ ১৫০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ৬ শতাংশ, যা সম্ভাবনার বিশাল ক্ষেত্র তুলে ধরে। জাপানের মোট পোশাক আমদানির ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়ার ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ এসেছে বাংলাদেশ থেকে—এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করে।