
ছবি : সংগৃহীত
চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১২ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১০৭ কোটি (১.০৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ধরে)। ধারাবাহিক এ গতি বজায় থাকলে পুরো জুলাই মাস শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৭৬ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে রেকর্ড ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।
এটি দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ। শুধু গত জুন মাসেই এসেছে ২৮২ কোটি ডলার, যা ২০২৩ সালের জুনের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।
রেমিট্যান্সে এমন প্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও ডলারের জোগানে স্বস্তি ফিরিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে রিজার্ভ ছিল ৩১ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের ২১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
এদিকে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তাদের মিডিয়াম টার্ম ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসি স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে, আসন্ন অর্থবছরে রপ্তানি ১০ শতাংশ, আমদানি ৮ শতাংশ এবং রেমিট্যান্স ৮ শতাংশ হারে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী আয় বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, নগদ প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে রেমিট্যান্সে এ ধারা তৈরি হয়েছে।’
- এএইচএস/এমআই