এনআরবিসির সাবেক চেয়ারম্যান আদনান ইমামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫৩

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)-এর ৭০৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ মামলায় এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমামের বিরুদ্ধে শেয়ার হস্তান্তর ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৫-এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদনান ইমামের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কারসাজি, নামে-বেনামে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ, অর্থপাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত তদন্ত চালাচ্ছে।
জানা গেছে, তিনি ১৩টি ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত ও বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ইউসিবি থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ৯৬৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন, যার বেশিভাগই মামলার আওতায় এসেছে।
আদনান ইমামের দৃশ্যমান ঋণগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইউসিবি ব্যাংকে ৫৭০ কোটি, ৮৭ কোটি, ৩৩৫ কোটি ও ৫৮ কোটি (সবই ইচ্ছাকৃত খেলাপি ও মামলা চলমান)
সিটি ব্যাংকে ১৩৫ কোটি ও ৪০ কোটি (ইচ্ছাকৃত খেলাপি), এসআইবিএলে ৮৯ কোটি, ঢাকা ব্যাংকে ২২ কোটি, এক্সিম ব্যাংকে ২০০ কোটি, পদ্মা ব্যাংকে ১৬ কোটি ওয়ান ব্যাংকে ১৩ দশমিক ৫ কোটি ও ১ দশমিক ৩৫ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ১০ দশমিক ৭৭ কোটি ও ৫৫ কোটি এবং এবি ব্যাংকে ৫৫ কোটি।
এ ছাড়া তার নামে অদৃশ্য বা বেনামি ঋণের পরিমাণ প্রায় একহাজার ৩৩ কোটি টাকা। এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে কর্মচারীদের নামে কোম্পানি খুলে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এনআরবিসি ব্যাংকে পরিচালক হিসেবে যোগ দেন আদনান। বর্তমানে তিনি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেনেক্স ইনফোসিস-এর চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। এ ঘটনায় আর্থিক খাতে আলোচনার ঝড় উঠেছে। আদনানের বিরুদ্ধে তদন্ত জোরদার করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিট ও দুর্নীতি দমন কমিশন।