Logo

অর্থনীতি

বহুমুখী চ্যালেঞ্জে ব্যাংকখাত

আনোয়ার হোসাইন সোহেল

আনোয়ার হোসাইন সোহেল

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩১

বহুমুখী চ্যালেঞ্জে ব্যাংকখাত

গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশের ব্যাংক খাত গত এক বছরে অর্থনৈতিক চাপে থেকেও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনরুদ্ধার, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে কিছু অগ্রগতি, ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারণ, সাইবার নিরাপত্তায় সাফল্য এবং তদারকির কৌশলগত পরিবর্তন— সব মিলিয়ে খাতটি কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছে। তবে এর পাশাপাশি খাতটিকে এখনও খেলাপি ঋণ, দুর্বল শাসন কাঠামো, স্বচ্ছতার অভাব ও কিছু ব্যাংকের তারল্য সংকটের মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিবেদন, আর্থিকখাত বিশ্লেষকদের মূল্যায়নে এমন চিত্র উঠে এসেছে। 

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্থিতিশীলতা
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সরকার বদলের পর পালিয়ে যান তৎকালীন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তাদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে ব্যাংক ছাড়েন তার চারজন ডেপুটি। নতুন গভর্নরের দায়িত্ব দেওয়া হয় অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ (হাবিব) মনসুরকে। দায়িত্ব নিয়েই তিনি ব্যাংক সংস্কারের উদ্যোগ নেন। ভেঙে দেন রেড জোনে থাকা ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ। এরপর ধীরে ধীরে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বাড়ায় ব্যাংকে আমানত বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়তে থাকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ। বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩০.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এটি আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২৫.৫০ শতাংশ বেশি। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যেখানে ২২ বিলিয়নের নিচে নেমে গিয়েছিল, তা চলতি জুলাই মাসে বেড়ে ৩০ দশমিক ০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (বিপিএম৬ অনুযায়ী ২৪.৯৯ বিলিয়ন) দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি নিয়ন্ত্রণ নীতির ফলেই এই স্থিতিশীলতা এসেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। 

খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে কিছু অগ্রগতি
গত একবছরে ব্যাংকখাতে খেলাপি হওয়ার প্রবণতা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।  তবে আগের মত খেলাপি ঋণ (নন পারফর্মিং লোন) বা এনপিএলের তথ্য লুকিয়ে রেখে হিসাব দেওয়ার প্রবণতা ছিল না এবার। ব্যাংকগুলোতে এখন ফরেনসিক অডিট (আর্থিক হিসাবরক্ষণের একটি বিশেষ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে আর্থিক জালিয়াতি, অনিয়ম এবং অন্যান্য অসঙ্গতিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আর্থিক বিবরণী পরীক্ষা করে দেখা হয়) হওয়ায় সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এখন প্রকৃত খেলাপি চিত্র পাওয়ায় যাচ্ছে। যার ফলে দেখা যাচ্ছে, খেলাপি ঋণ বেড়েছে তিনগুণ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ঠেকেছে চার লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। যদিও ২০২৪ সালের শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট ঋণের ৯.৩৫ শতাংশে পৌঁছেছিল, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে তা কিছুটা কমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি ও পুনঃতফসিল নীতিমালা কঠিন হওয়ায় এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।

সাইবার নিরাপত্তায় সফলতা
২০২৫ সালের শুরুর দিকে ২০ মিলিয়ন ডলারের একটি বড় ধরনের সাইবার জালিয়াতি প্রচেষ্টা রুখে দেওয়ায় দেশবিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার প্যান এশিয়া ব্যাংকের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই জালিয়াতি ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ডিজিটাল অগ্রগতি
গত এক বছরে মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং এবং ই-ওয়ালেট ব্যবহারে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটির বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এমএফএস সেবা খাতে পুরুষ অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৮ কোটি ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৮০৩টি, আর মহিলা সংখ্যা ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৫টিত দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৯৭২টি। সর্বমোট ১৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজর ৫৯০টি। এরমধ্যে শহরে ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৩ হাজার ৮৫৪টি আর গ্রামীণ অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৭ কোটি ৫৯ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৬টি। এই হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত কয়েক মাসে এমএফএস হিসাবধারী নারী গ্রাহক ও গ্রামাঞ্চলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। 

ডলার বাজারে হস্তক্ষেপের নীতির পরিবর্তন
ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার পর প্রায় দুই মাস ধরে দেশের মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের সংকট অনেকটা কমে এসেছে। ডলারের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা এতোদিন ছিল, সেটিও এখন অনেকটা কেটে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আর সরাসরি ডলার বিক্রির বদলে বাজার নির্ধারিত হার অনুসরণ করছে। এতে ডলারের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডলারের দাম আপাতত ১২০ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে থাকবে। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড। 

বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও নগদ অর্থ সংকট
গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক বিতর্কিত এস আলম ও নাসা গ্রুপের হাতে তুলে দেয়। ফলে তাদের সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়মের ফলে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা চরম দুর্বল হয়ে পড়ে। কয়েকটি ব্যাংক তারল্য সংকটের কারণে আমানতকারীদের নগদ আমানত তোলার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দুর্বল ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ভেঙে দেন। উদ্যোগ নেওয়া হয় ফরেন্সিক অডিটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রকৃত চিত্র জানার। দেশে-বিদেশে মামলার মাধ্যমে দেশে থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে টাকা ছাপিয়ে সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে দেন। কর্মসংস্থানের সুযোগ ঠিক রেখে কয়েকটি ব্যাংক মিলে একটি পৃথক ব্যাংক করার মাধ্যমে মার্জার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। যার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।  

ব্যাংক লুটপাটকারীদের সম্পদ জব্দ
ব্যাংক খাতে লুটপাট ও ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সম্পদ জব্দের কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি টাস্কফোর্স এ অভিযান চালাচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে অন্তত ১২ জন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও ঋণ খেলাপির ৮০০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি অভিজাত বাড়ি, প্লট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা পরিকল্পিতভাবে ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে, তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। আইন অনুযায়ী তাদের সব অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।’

অগ্রণী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বাংলাদেশের খবরকে বলেন, গত প্রায় ৯ মাসে ব্যাংক খাতসহ সবকিছু ডাউন ট্রেন্ডে ছিল। কোনো এক সময় গভর্নর বলেছিলেন, আমাদের ইনফ্লেশন রেট সাত শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। আমার মনে হয় এখন সেটা ৭ শতাংশের ধারে কাছে রয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটা বড় অর্জন। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ গত ১৫ বছর লেফট অ্যান্ড রাইট ল্যান্ডিং হয়েছে। উইদ্যাউট প্রপার কেওয়াইসি। ব্যালেন্স শিট অ্যানালাইসিস করা হয়নি, এজন্য প্রবলেম বেড়ে গেছে। কিন্তু ইন্টেরিম গভার্মেন্ট আসার পর এ নিয়ে তারা সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। এ সময় হয়ত তারা দেখানোর মতো কোনো কাজ করতে করেনি। তবে স্লোলি, ধীরে ধীরে কাজ করছে। ব্যাংকখাতের নিম্নমুখিতা বন্ধ হয়ে গেছে। আগামীতে যে সরকার আসবেন তারা যদি ফলো করে তাহলে ব্যাংকখাত নিঃসন্দেহে উন্নতির দিকে যাবে, এটা আমি বিশ্বাস করি। 

তিনি বলেন, অগ্রণী ব্যাংকে ল্যান্ডিংয়ের অনেক অংশ এখন ক্লাসিফাইড। আমি এর আগেরবার দায়িত্ব ছাড়ার সময়ে ১০ শতাংশ রেখে গিয়েছিলাম। এখন তা বেড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ হবে। গত ৯ মাসে আমরা বিতরণ করা ৩০০ কোটি টাকার বেশি রিকভারি করেছি। ১ হাজার কোটি টাকা খেলাপি আদায় করেছি।

অর্থনীতিবিদ এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ-এর রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, গত ১ বছরে ব্যাংক খাতে বেশকিছু সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে অন্যতম হলো টাস্কফোর্স গঠন, নতুন আইন প্রবর্তন, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন, খেলাপি ঋণ আদায়ে জোরদার কার্যক্রম, তারল্য সংকট মোকাবিলা ও আমানতকারীদের সুরক্ষার জন্য দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে নতুন তহবিল দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

তিনি আরও মন্তব্য করেন, মূলত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য খাত সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা প্রয়োজন। ব্যাংক একীভূতকরণের প্রচেষ্টা এখনো আলোর মুখ দেখছে না। তাছাড়া রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে কোনো সংস্কার কার্যক্রম টেকসই হবে না।

ব্যাংক খাতের গত একবছরের সাফল্য ও ব্যর্থ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান বলেন, আমরা জানি একটি আইন হতে পাঁচবছর সময় লাগে। ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই করেছি এটা আমাদের বড় অর্জন। একটা কাজ করতে চাইলে হবে না। তার পেছনে আইনীভিত্তি লাগে। বিগত গভর্নরের সময়ে পদ্মা ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের মার্জার করা হয়েছিল কিন্তু সেটা কি সফল হয়েছিলো? কারণ তখন আইনীভিত্তি ছিল না। এখন আইনীভিত্তিক আছে বিধায় গভর্নর জোরগলায় বলতে পারছেন। এখন ব্যাংক রেজুলেশন আইন আছে। এতে ব্যাংক পরিচালকরা চাইলেই এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। 

ব্যাংক সংস্কারের কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, ব্যাংক মার্জ করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর ফরেন্সিক অডিট হয়েছে। এখন প্রতিটি ব্যাংকের প্রকৃত হেলথ আমরা জানতে পারলাম। আমরা আগে মেয়াদোত্তীর্ণ রং করা মিনি বাসে চড়তাম, যেটা রাস্তার মাঝে বন্ধ হয়ে যেত। এখন আমরা জানতে পারছি আসলে ওই গাড়িটির মেয়াদ সত্যি শেষ হয়েছে কিনা। অনেক ব্যাংক ৫-৬ শতাংশ খেলাপি ঋণ ছিল এখন দেখলাম ৫-৬ শতাংশ আনক্লাসিফাইড, জাস্ট রিভার্স হয়েছে। আমরা রোগটা নির্ণয়ের কাজ করেছি। এখন ওষুধ দেওয়ার কাজ করব। 

এএইচএস/এমএইচএস


প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ ব্যাংক

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর