Logo

অর্থনীতি

পুঁজিবাজারে পা ফেলতে যাচ্ছে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৪:৫৭

পুঁজিবাজারে পা ফেলতে যাচ্ছে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন

দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডকে (এপিএসসিএল) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিদ্যুৎ বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ডিএসইর চেয়ারম্যানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে এপিএসসিএলসহ বিপিডিবির আওতাধীন লাভজনক কোম্পানিগুলোকে ডিএসই-তে তালিকাভুক্ত করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপিডিবি’র সদস্য এ এন এম ওবাইদুল্লাহ, ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ আসাদুর রহমান, এপিএসসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সাইয়েদ আকরাম উল্লাহ, কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল মনসুর এবং আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদা খাতুন। 

ডিএসই কর্মকর্তাদের মতে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনার পর রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার প্রথম পদক্ষেপ। অধ্যাপক ইউনূস চলতি বছরের মে মাসে শীর্ষ শেয়ারবাজার কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

তারা জানান, সরকার লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ এবং সরকারি অংশীদারিত্ব থাকা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম বলেন, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন এর আগে পুঁজিবাজারে বন্ড ইস্যু করে তহবিল সংগ্রহ করেছিল। একটি বৈঠকে কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশা করা যায়, তালিকাভুক্তির প্রস্তাবটি তাদের আসন্ন বোর্ড সভায় উত্থাপন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার একটি শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি রয়েছে এবং এটি প্রতি বছর অধিক পরিমাণে মুনাফা অর্জন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। কোম্পানিটি যাতে শেয়ারবাজারে সহজে তালিকাভুক্ত হতে পারে, সেজন্য ডিএসই সব ধরনের সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

১৯৬৬ সালে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন (এপিএস) ১৯৭০ সালের জুলাই মাস নাগাদ দুটি ইউনিট চালু করে। তৎকালীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১২৮ মেগাওয়াট। স্বাধীনতার পর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জাতীয় পুনর্গঠন ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৮৬ এবং ১৯৮৭ সালে অতিরিক্ত তিনটি করে ১৫০ মেগাওয়াট ইউনিট যুক্ত করা হয়। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দুটি ৫৬ মেগাওয়াটের গ্যাস টারবাইন এবং একটি ৩৪ মেগাওয়াটের স্টিম টারবাইনসহ একটি কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।

ক্রমাগত সম্প্রসারণের মাধ্যমে এপিএসের বর্তমানে মোট স্থাপিত ক্ষমতা ১ হাজার ৬৯০ মেগাওয়াট। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এটি জাতীয় গ্রিডে ৭ হাজার ৫৭১ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।

  • এএইচএস/এটিআর
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর