১১০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা ভণ্ডুল করল চট্টগ্রাম কাস্টমস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৪৭

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত সময়ে রাজস্ব ফাঁকির ৭৬২টি ঘটনা উদ্ঘাটন করেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি ও ৬০ কোটি টাকা জরিমানাসহ ১১০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজস্ব কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাস্টমসের অ্যান্টি ইভেশন (এআইআর) শাখা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে এসব অনিয়ম ঠেকায়। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি, ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য আনা, আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার প্রতিরোধে এ শাখা বিশেষ নজরদারি চালায়। সন্দেহজনক চালান চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক কন্টেইনার খোলা ও কায়িক পরীক্ষার মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদ্ঘাটন করা হয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাসভিত্তিক অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হয়েছে- জুলাইতে ১০ কোটি ১৩ লাখ, আগস্টে প্রায় ১১ কোটি, সেপ্টেম্বরে ৬ কোটি ৩৪ লাখ, অক্টোবরে ৭ কোটি ৫৩ লাখ, নভেম্বরে ৬ কোটি ৪২ লাখ, ডিসেম্বরে প্রায় ১০ কোটি, জানুয়ারিতে ৬ কোটি ৭৭ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১০ কোটি ৬৮ লাখ, মার্চে ১৮ কোটি ৮২ লাখ, এপ্রিলে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ও মে মাসে ১১ কোটি ৩ লাখ টাকা।
এসময়ে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি নভেম্বরে ৫১.৭৭ শতাংশ, অক্টোবরে ৯৩.৫৭ শতাংশ ও মার্চে ৮৮.৬০ শতাংশসহ কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আগের বছরের তুলনায় রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৫ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়েছে ১৪৬টি বেশি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ শফি উদ্দিন বলেন, ‘রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিল্প বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি রাজস্ব ফাঁকি রোধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি মেনে কাজ করছি।’
এএইচএস/এমবি