Logo

অর্থনীতি

এনজিওর উত্থান-পতন : সংকুচিত হচ্ছে সুশীল সমাজের প্রভাব

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২০:২৯

এনজিওর উত্থান-পতন : সংকুচিত হচ্ছে সুশীল সমাজের প্রভাব

ছবি : সংগৃহীত

শীতল যুদ্ধ–পরবর্তী সময়ে মানবাধিকার, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করা আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছিল। কিন্তু প্রভাবশালী সাময়িকী ফরেন অ্যাফেয়ার্স-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধ বলছে, এই প্রভাব এখন দ্রুত কমছে।

গবেষক সারা বুশ ও জেনিফার হাডেনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এনজিও যুগ এক ধরনের সমাপ্তির পথে।

১৯৯০–এর দশকে পশ্চিমা সহায়তায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, গ্রিনপিস, অক্সফামের মতো সংস্থা দরিদ্র দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রে পরিবর্তন আনে। যুক্তরাষ্ট্র ছিল একক সুপারপাওয়ার, ‘কালার রেভল্যুশন’ থেকে পূর্ব ইউরোপ ও এশিয়ার গণতান্ত্রিক রূপান্তর এনজিওর সাফল্যের উদাহরণ ছিল।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চিত্র বদলে গেছে। ফ্রিডম হাউস জানায়, ২০২৪ সালে টানা ১৯তম বছরের মতো বিশ্ব কম স্বাধীন হয়েছে। বাজেট সংকট, রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং যৌন নিপীড়নের মতো কেলেঙ্কারি এনজিওর প্রতি আস্থা কমিয়েছে। অনেক দেশে বিদেশি অর্থায়িত সংস্থার কার্যক্রমে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে।

চীন, রাশিয়া ও আরও অন্তত ১৩০টি দেশ পশ্চিমা প্রভাব ঠেকাতে এনজিও নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তহবিলভিত্তিক ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি বা দাতা-নির্ভর ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেশন–এর মতো সংস্থাকে অনেক রাষ্ট্র নীতি প্রভাব বিস্তারের মাধ্যম হিসেবে দেখে।

বিশ্লেষকদের মতে, শীতল যুদ্ধ–পরবর্তী উদারপন্থী অভিজাতদের ‘পোস্ট-ওয়েস্টফেলিয়ান বিশ্ব’ গড়ার স্বপ্ন এখন বাস্তবতার চাপের মুখে ভেঙে পড়ছে। আমেরিকার প্রভাব কমছে, আর রাজনৈতিক মেরুকরণের যুগে লিবারেল এজেন্ডাভিত্তিক এনজিওগুলো পিছিয়ে পড়ছে।

  • এমআই
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর