যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ শুল্ককে বড় সাফল্য বললেন প্রেস সচিব

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৩০

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক ট্যারিফ আলোচনায় বাংলাদেশ ২০ শতাংশ শুল্ক নিশ্চিত করতে পেরেছে। এটিকে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ‘বাংলাদেশ ও ট্রাম্পের শুল্ক : বাণিজ্য ব্যবস্থা পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক কূটনীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ রিসার্চ এনালাইসিস এন্ড ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (ব্রেইন)।
শফিকুল আলম বলেন, ‘অনেকে মনে করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভালো চুক্তি করতে পারবে না। কিন্তু সঠিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করেছি।’
তিনি জানান, শুরু থেকেই সরকার বাস্তবসম্মত ও দ্রুত ফল আনা সম্ভব এমন পরিকল্পনা নিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নীতি— উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে সঠিক কূটনৈতিক প্রস্তুতির মাধ্যমে সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।
প্রেস সচিবের তথ্য অনুযায়ী, আলোচনায় তিনটি মূল শক্তি কাজ করেছে— প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের অভিজ্ঞতা এবং বৈশ্বিক বাজারে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সুস্পষ্ট ধারণা।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের সুবিধা হলো বৈশ্বিক বাজারে বড় ভোক্তা ও আমদানিকারক হিসেবে অবস্থান। কটন, তেল, পোল্ট্রি ফিড, ভোজ্যতেল— প্রায় সব ক্ষেত্রেই আমাদের লেভারেজ রয়েছে।’
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারেও রপ্তানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে সিঙ্গাপুরের মতো দক্ষ না করলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব হবে না।’
তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে এবং অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরেছে।
শফিকুল আলম আশা প্রকাশ করেন, ট্যারিফ আলোচনার সাফল্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধির নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বাজারে আরও প্রবেশাধিকার। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান বা ভিয়েতনামের মতো আমরাও বিশ্বাস করি— যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়িয়ে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির নতুন পথে এগিয়ে যাবে।’
এমএইচএস