ব্যাংক খাতে ফিরছে আস্থা, ৩ মাসে আমানত বেড়েছে ১৪৮ কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৫

কোলাজ : বাংলাদেশের খবর
দেশের ব্যাংক খাতে মানুষের আস্থা ফেরায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঞ্চয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নো-ফ্রিলস (এনএফএ) বা চার্জমুক্ত হিসাবে ২০২৫ সালের জুন শেষে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। যা মার্চ শেষে ছিল ৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে আমানত বেড়েছে প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা বা ৩ শতাংশ।
হিসাবের সংখ্যায়ও প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। মার্চ শেষে নো-ফ্রিলস হিসাবের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৮২ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭০টি, জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬ হাজার ৭৯৯টিতে। এই সময়ে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার নতুন হিসাব যুক্ত হয়েছে, যা ১.৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
প্রবাসী আয়েও উন্নতি হয়েছে। মার্চ শেষে এসব হিসাবে প্রবাসী আয় ছিল ৭৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা জুন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটি ৪৫ লাখ টাকায়। তিন মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ২৩ কোটি টাকা বা ২.৯৫ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পরিবর্তনের হিসাব অনুযায়ী, কৃষকদের আমানত ৭১৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭০ কোটিতে, যা ৭.২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। অতি দরিদ্রদের আমানতও বেড়েছে; মার্চ শেষে ২৩১ কোটি টাকা থাকলেও জুন শেষে তা দাঁড়িয়েছে ২৪৬ কোটিতে, যা ৬.৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি।
তবে পোশাকশ্রমিকদের আমানত সামান্য কমেছে; এই খাতে আমানত ৪৬৭ কোটি টাকা থেকে কমে ৪৬৫ কোটিতে নেমেছে, যা ০.৪৩ শতাংশ হ্রাস। মুক্তিযোদ্ধাদের হিসাবে আমানত ১,০১৩ কোটি টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬১ কোটিতে, যা ৫.১৩ শতাংশ হ্রাস।
অন্যদিকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের আমানত ১,৭৩১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮২১ কোটিতে, যা ৫.১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে যাওয়ায় এবং মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় মানুষের খরচের চাপ হ্রাস পেয়েছে। ফলে প্রান্তিক মানুষও সঞ্চয়ের দিকে ঝুঁকছে। এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ব্যাংক খাতে আস্থা ফিরে আসার স্পষ্ট প্রমাণ।’
এএইচএস/এমএইচএস