
ছবি : সংগৃহীত
ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চলতি সপ্তাহে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত এক সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ১৭ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পাঁচটি ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ৪০ লাখ (১৩৪ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার কেনা হয়।
এবার লেনদেন হয়েছে মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। এ ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের সর্বনিম্ন দর বা কাট-অফ রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘বাজারে চাহিদা–যোগানের ভারসাম্য বজায় রাখতেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমদানি দায় পরিশোধ ও রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় এ ধরনের কেনাবেচা সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
এর আগে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনেছিল।
সব মিলিয়ে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সাত দফায় ৭২ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে জুলাই ও আগস্টে ছয় দফায় ডলার কেনা হয়। এর মধ্যে ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে ১ কোটি ডলার, ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ১০ আগস্ট ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।
ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মতে, ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া বা হঠাৎ কমে যাওয়া—দুটোই অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, বিদেশি দায়ও সঠিকভাবে পরিশোধ হচ্ছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। আর জাতীয় নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে, তখন ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।
এএইচএস/এএ