বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৩ গুণ, তবুও দক্ষিণ এশিয়ায় মাঝামাঝি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০০
-68bd04a12bbba.jpg)
গত দেড় দশকে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ও উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১০ সালে যেখানে মাথাপিছু জিডিপি ছিল ৮৮২ মার্কিন ডলার, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২৫ ডলারে। অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যে প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ এখনো পেছনে। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। শুধু পাকিস্তান, নেপাল ও আফগানিস্তান বাংলাদেশের নিচে রয়েছে।
শীর্ষে আছে মালদ্বীপ, যেখানে মাথাপিছু জিডিপি ১১ হাজার ডলারের বেশি। দ্বিতীয় স্থানে শ্রীলঙ্কা (প্রায় ৪ হাজার ৫১৬ ডলার), তৃতীয় ভুটান (প্রায় ৪ হাজার ডলার) ও চতুর্থ স্থানে ভারত (২ হাজার ৮০০ ডলার)।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপির ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিফলন। এতে জনগণের জীবনযাত্রার মান ধীরে ধীরে উন্নত হওয়ার ইঙ্গিত মেলে।
মাথাপিছু জাতীয় আয়েও অগ্রগতি
এডিবির প্রতিবেদনে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) দিক থেকেও বাংলাদেশের অগ্রগতি উঠে এসেছে। ২০১০ সালে মাথাপিছু জিএনআই ছিল ৭৮০ ডলার, যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২০ ডলারে। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন গুণ বৃদ্ধি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিএনআইয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তবে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোর পেছনে রয়ে গেছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, জিডিপি ও জিএনআই উভয় সূচকের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্ত ভিত্তি ও বৈদেশিক আয় বৃদ্ধির প্রতিফলন। তবে প্রতিবেশী দেশের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছাতে হলে উৎপাদনশীলতা, বিনিয়োগ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে আরও মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
এএইচএস/এমবি