
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতা ফিরছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গ্রস হিসাবে দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০,৫৭৭.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম৬ পদ্ধতিতে এ হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৫,৬৭৪.৩০ মিলিয়ন ডলার।
প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসেবে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। আর বিপিএম৬ পদ্ধতিতে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর এশীয় ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধে বাংলাদেশকে ১,৫০৩.৫০ মিলিয়ন ডলার গুণতে হয়। ওই পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে আসে ৩০.৩০ বিলিয়ন ডলারে। মূলত জুলাই-আগস্ট মাসে আমদানি পণ্যের অর্থ পরিশোধের অংশ হিসেবেই এ বিল দেওয়া হয়। আকু সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দুই মাস পরপর এ ধরনের নিষ্পত্তি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় রিজার্ভে স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। গত মাস শেষে রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠলেও আকুর বিল দেওয়ার পর কিছুটা কমে যায়।
তথ্য অনুযায়ী, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ২০২২ সালের আগস্টে— ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলার। এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমতে থাকে। বিশেষ করে তখনকার সরকারের আমলে অর্থ পাচার বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও সংকটে পড়ে। ২০২৪ সালের জুলাই শেষে রিজার্ভ নেমে আসে ২০.৩৯ বিলিয়ন ডলারে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখার পাশাপাশি অর্থ পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগের সরকারের রেখে যাওয়া প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের মেয়াদোত্তীর্ণ বকেয়া পরিশোধের পরও বর্তমানে রিজার্ভ গ্রহণযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।
এএইচএস/এমএইচএস