-68cb97604850a.jpg)
চলতি বছরের হিসাবে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এতে দেখা গেছে, আগের মতোই অর্থনৈতিক শক্তির দাপট দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে ভারত দ্রুত এগিয়ে এসে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে।
আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থনীতি বর্তমানে ৩০.৩৪ ট্রিলিয়ন ডলারের এবং এ বছর প্রবৃদ্ধি হবে ২.২ শতাংশ। মার্কিন নাগরিকদের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬৮ হাজার ডলার।
দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতি চীন। দেশটির জিডিপি ১৯.৫৩ ট্রিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধির হার হবে ৪.৫ শতাংশ। চীনের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় ১৩.৮৭ হাজার ডলার।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি জার্মানি। দেশটির জিডিপি ৪.৯২ ট্রিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধির হার ০.৮ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ৫৭.৯১ হাজার ডলার।
চতুর্থ স্থানে থাকা জাপানের অর্থনীতি ৪.৩৯ ট্রিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি হবে ১.১ শতাংশ। দেশটির মাথাপিছু আয় ৩৫.৬১ হাজার ডলার।
ভারত এ তালিকায় পঞ্চম। দেশটির জিডিপি ৪.২৭ ট্রিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫ শতাংশ, যা তালিকায় সর্বোচ্চ। তবে মাথাপিছু আয় মাত্র ২.৯৪ হাজার ডলার।
শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো— যুক্তরাজ্য (৩.৭৩ ট্রিলিয়ন ডলার), ফ্রান্স (৩.২৮ ট্রিলিয়ন ডলার), ইতালি (২.৪৬ ট্রিলিয়ন ডলার), কানাডা (২.৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার) ও ব্রাজিল (২.৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার)।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্ব অর্থনীতির এ অবস্থান বাংলাদেশসহ উদীয়মান দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা, বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিতে এসব দেশের নীতি ও অবস্থান দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করতে পারে।
উল্লেখ্য, একটি দেশের অর্থনৈতিক শক্তিমত্তা পরিমাপ করা হয় জিডিপি দিয়ে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশে উৎপাদিত সব পণ্য ও সেবার বাজারমূল্যই হলো মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি।
সূত্র : বাজাজ ফিনসার্ভ