Logo

অর্থনীতি

খেলনা শিল্প রপ্তানি বৃদ্ধিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে ডিসিসিআই’র আহ্বান

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৫১

খেলনা শিল্প রপ্তানি বৃদ্ধিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে ডিসিসিআই’র আহ্বান

ছবি : সংগৃহীত

বৈশ্বিক খেলনা বাজার বর্তমানে ১০২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগামী ২০৩০ সালে ১৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। অথচ বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৭৭ মিলিয়ন ডলার। সম্ভাবনাময় এখাতে উন্নতি করতে প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত “রপ্তানি বহুমুখীকরণ; খেলনা উৎপাদন শিল্পে উদ্ভাবন এবং রপ্তানির সম্ভাবনা” শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ আলোচনা সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, বৈশ্বিক খেলনা বাজার বর্তমানে ১০২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৩০ সালে ১৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। অথচ বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৭৭ মিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চ শুল্ক, বন্ডেড সুবিধার অনুপস্থিতি, পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও টেস্টিং সুবিধার অভাব এবং সহায়ক নীতিমালার অনুপস্থিতি এই খাতের সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এছাড়া শিক্ষাখাতের সম্পৃক্ততা এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয় বৃদ্ধি করাও জরুরি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর সদস্য মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে খেলনা খাতসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতের ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, রাজস্ব বিভাগের মাধ্যমে শুল্ক আরোপের নীতি ইতিমধ্যেই নির্ধারিত, তবে আগামী বাজেটে খাতের প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদানের সুযোগ রয়েছে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর মার্টিন ডওসন বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত খেলনা পণ্যের রপ্তানিতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রিটিনে রুলস অব অরিজিন সহজীকরণের উদ্যোগ এই খাতের রপ্তানি সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফেকচারারর্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ জানান, দেশে প্রায় ৫ হাজার প্লাস্টিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে ২৫০টি খেলনা শিল্পের সাথে যুক্ত। এখানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ কর্মরত। তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি মাত্র ১৫.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২২-২৩ সালে ৮৮ দেশে রপ্তানি বেড়ে ৭৭ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তবে পণ্যের মান নিশ্চিতকরণ, গবেষণা ও নতুন পণ্য ডিজাইনের অভাব এই খাতের সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে বাধা দিচ্ছে।

সভায় শিল্প খাতের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট, মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, জয়েন্ট ভেঞ্চার বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নীতিমালার সুসংহতকরণের উপর জোর দেন। এছাড়া পণ্যের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ, ব্যাংক ঋণের সুদের হ্রাস, কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক হ্রাস এবং পরিবেশ ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

  • এএইচএস/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ডিসিসিআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর