---2025-09-25T161252-68d515dc531b3.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
সাতটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১০৬ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ঋণ নন-কনসেশনাল বা কঠিন শর্তের, যা তুলনামূলকভাবে বেশি সুদসহ এবং ছোট মেয়াদের হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিদেশি সহায়তা অনুসন্ধান কমিটির সভায় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ বিভিন্ন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মোট ৩৬টি বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে চীনের ঋণ ও অনুদানের প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে মাত্র সাতটি প্রকল্প।
সভায় জানানো হয়, অনমনীয় ঋণের সুদের হার বাজারভিত্তিক হওয়ায় সাধারণত নমনীয় ঋণের চেয়ে বেশি। এছাড়া পরিশোধের মেয়াদ ও রেয়াতকালও তুলনামূলকভাবে কম। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প, যেমন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, সাধারণত সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যায় না। বিশ্বব্যাংক বা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে সহজ শর্তের ঋণ কমে যাওয়ায় সরকারকে নন-কনসেশনাল ঋণে ঝুঁকতে হচ্ছে।
সাতটি অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের জলবায়ু সহনশীল সেতু নির্মাণ, উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নয়ন। এছাড়া চট্টগ্রাম-দোহাজারী মিটারগেজ রেলপথ ডুয়েলগেজে রূপান্তর, ওয়াসার ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প ও নেসকো এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত।
ময়মনসিংহে পাঁচটি জলবায়ু সহনশীল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা, যার ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)।
ঢাকার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পে (ফেইজ-৩) ব্যয় হবে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি, ১১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা ঋণ দেবে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি)। ওয়াসারের অপর প্রকল্পে ১০ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকার ব্যয়ের মধ্যে ৬৭৪ কোটি ঋণ দেবে একই সংস্থা।
চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথ ডুয়েলগেজ প্রকল্পে ব্যয় ১০ হাজার ৭৯৭ কোটি, ঋণ দিচ্ছে এডিবি ৭ হাজার কোটি। খুলনায় পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যয় ২ হাজার ৫৯৮ কোটি, ঋণ ১ হাজার ৮২১ কোটি। নেসকো এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণে ব্যয় ১ হাজার ১৮৪ কোটি, ঋণ ৯৬৫ কোটি টাকা।
- এমআই