Logo

অর্থনীতি

কমছেই না সবজির দাম, অন্যান্য জিনিসের দামও চড়া

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৩

কমছেই না সবজির দাম, অন্যান্য জিনিসের দামও চড়া

ফাইল ছবি

রাজধানীর বাজারে বেশ কয়েক মাস ধরে একটানা সবজির দাম উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ক্রেতারা জানান, মৌসুম নয় বা বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হয়েছে— এমন কারণ দেখিয়ে বিক্রেতারা লাগামহীন দাম ধারন করছেন। বাজারে পেঁপে ছাড়া অন্যান্য সবজি ৮০ থেকে ১৬০ টাকার ঘরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন (গোল) ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ১০০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৮০ টাকায়। এছাড়া টমেটো ১৩০ টাকা, লাউ ৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা (হালি), লেবু ৪০ টাকা (হালি) এবং কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে ক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতিটি সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকলেও কিছু সবজি আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বেসরকারি চাকরিজীবী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আগে এক কেজি সবজি কিনতাম, এখন এত দাম থাকার কারণে আধা কেজি কিনি। সাধারণ ক্রেতাদের একই অবস্থা।’

মগবাজারের সবজি বিক্রেতা এরশাদ আলী জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে খেত ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রভাবে কিছুটা দাম বেড়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তবে কিছুদিনের মধ্যে নতুন সবজি উঠলে দাম কমে আসবে।

সবজির পাশাপাশি অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দামও চড়া রয়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২ টাকা বেড়ে ১৭২-১৮০ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে ৭০-৭৫ টাকা হয়েছে। মাছ, মুরগি ও চালের দামও সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা এবং এক ডজন ডিম ১৪০ টাকায়। বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে তেলাপিয়া ২২০-৩০০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২৫০ টাকা, কই ২৪০-২৮০ টাকা এবং রুই ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এমএইচএস 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাজার দর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর