দেড় বছর পর আবারও দুই অঙ্কে ব্যাংক আমানতের প্রবৃদ্ধি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৫
প্রায় দেড় বছর পর দেশে ব্যাংক আমানতের প্রবৃদ্ধি আবারও দুই অঙ্কে উঠেছে। ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদ কমা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় ও সঞ্চয়পত্রে কম মুনাফা কমায় আমানতের প্রবৃদ্ধি এমন গতি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট শেষে ব্যাংক আমানতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ০২ শতাংশে। এর আগে সর্বশেষ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এরপর টানা ১৭ মাস ধরে ব্যাংক আমানতের প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কে ঘুরপাক খায়। চলতি বছরের জুলাইয়ে তা নেমে গিয়েছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশে। তবে আগস্টে প্রবৃদ্ধি ফের দুই অঙ্কে পৌঁছানোয় খাতটিতে স্বস্তি ফিরেছে।
ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদের হার কমে যাওয়ায় অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সেখানে বিনিয়োগ কমিয়ে ব্যাংকের আমানতে অর্থ রাখছেন। তিন মাস আগেও ট্রেজারি বিল ও বন্ডে সুদের হার ছিল ১১ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১০ শতাংশের ঘরে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ নিলাম অনুযায়ী,
৯১ দিনের বিলের সুদ ৯.৫০%;
১৮২ দিনের বিলের সুদ ৯.৭১%;
৩৬৪ দিনের বিলের সুদ ৯.৬০%।
অন্যদিকে, ৫, ১০, ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হার যথাক্রমে ৯.৩৩%, ৯.৮৯%, ৯.৬৭% ও ৯.৭০%।
ব্যাংকাররা জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনেছে। এতে ব্যাংক খাতে তারল্য বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন পর্যন্ত ১৫টি নিলামের মাধ্যমে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি কিনেছে।
এছাড়া সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমে যাওয়ায় ব্যাংক আমানত তুলনামূলকভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলোও প্রতিযোগিতামূলক সুদহার ও নতুন পণ্য চালু করে আমানত সংগ্রহে সচেষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় সাড়ে ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার একটি অংশ আবার ব্যাংকে ফেরত আসছে। নগদ অর্থ ধরে রাখার প্রবণতা কিছুটা কমেছে।
এএইচএস/এমবি


