দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে উৎসাহ দিতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে অবলোপনকৃত ঋণ গ্রাহকের কাছ থেকে বকেয়া আদায় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা আদায়কৃত অর্থের ৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনা পাবেন।

রোববার (১৯ অক্টোবর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব অবলোপনযোগ্য ধরা হবে। এ ধরনের ঋণ অবলোপনের অন্তত ৩০ কর্মদিবস আগে ঋণগ্রহীতাকে নোটিশ দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, অনাদায়ী ঋণ হিসাবগুলো দীর্ঘদিন স্থিতিপত্রে রাখায় ব্যাংকের ব্যালান্স শিট অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুযায়ী, এই ধরনের মন্দ ও ক্ষতিজনক ঋণ অবলোপনের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে, অবলোপনের পরও ঋণগ্রহীতা সম্পূর্ণ দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত খেলাপি হিসেবেই বিবেচিত থাকবেন।

অবলোপনযোগ্য ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। অবলোপনের আগে যদি কোনো মামলা দায়ের না হয়ে থাকে, তবে অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ অনুযায়ী মামলা করতে হবে।

এ ছাড়া প্রতিটি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দুই ধাপ নিচের একজন কর্মকর্তাকে অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।

প্রণোদনার নিয়মে বলা হয়েছে, আদায়কৃত অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পেতে পারেন। অবশিষ্ট অর্থ অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব ব্যাংকের নিজস্ব নগদ প্রণোদনা নীতি নেই, তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

• এএইচএস/এমআই