Logo

অর্থনীতি

নানা জটিলতায় ঝুলে আছে সরকারি ব্যাংকের জিএম পদোন্নতি

Icon

এস রহমান খান

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫

নানা জটিলতায় ঝুলে আছে সরকারি ব্যাংকের জিএম পদোন্নতি

নানা জটিলতায় ঝুলে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পদোন্নতি কার্যক্রম। পদোন্নতি কমিটির চেয়ারম্যান ও গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বিদেশে অবস্থান করছেন। ফলে এখনো সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাই করতে পারেনি সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রগুলো বলছে, অন্য বছরগুলোতে পদোন্নতির কার্যক্রম শুরু হয় আরও আগে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ব্যাংকগুলো থেকে তালিকা সংগ্রহ করা হয় আগেই। এবার কোনো কাজই শুরু হয়নি। রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) থেকে যারা জিএম হতে লড়বেন তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। মনে করছেন, প্রক্রিয়াটি পিছিয়ে পড়ার কারণে যেকোন সময় অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে তাদের পদোন্নতি।

সোনালী ব্যাংকের একজন ডিজিএম গত বছর পদোন্নতির জন্য মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচিতদের তালিকায় ছিলেন না। এবার আবার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, নির্বাচনে একটি আবহ তৈরি হচ্ছ দেশে। কাজেই দিন যত যাচ্ছে, একটি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। ফলে আমরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছি, নির্বাচনের আগে সরকার পদোন্নতি দিতে পারবে কিনা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্র বলছে, ২০২৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জিএম পদোন্নতির কার্যক্রম শুরু হয় মার্চ মাসে। আর গত বছর এটি প্রায় ছয় মাস পিছিয়ে যায়। তবে, শুরু হয় অক্টোরের প্রথম দিকে। আর মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচিতদের তালিকা চূড়ান্ত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আগামী সপ্তাহে অফিস শুরু করতে পারেন টানা সরকারি সফর ও ব্যক্তিগত ছুটি শেষে। তবে কয়েক দিন অফিস করে ফের তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা রয়েছে। ফলে এর মধ্যে, বেসরকারি ৫ ব্যাংকের মার্জার প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ততা রয়েছে। তার মধ্যে পদোন্নতির প্রক্রিয়াটি তিনি শুরু করবেন কিনা তা জানা যায়নি। যদিও, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এখনো কোন কাজই শুরু করেনি।

সূত্র বলছে, সহকারী মহাব্যবস্থাপক থেকে উপ-মহাব্যবস্থাপক পদোন্নতির নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয় সম্প্রতি। তার আলোকে ডিজিএম থেকে জিএম পদোন্নতির বিদ্যমান নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন আনার দরকার হতে পারে। সেটি চূড়ান্ত করে প্রক্রিয়াটি হাতে হাতে নিলে তা আরও পিছিয়ে যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। কমিটির তরফ থেকে নির্দেশনা পেলে তারা কাজ শুরু করতে পারবেন। তবে কোন নির্দেশনা তারা এখনো পানি।

তিনি আরও বলেন, সম্ভাব্য তালিকা অনেক বড় হয়। তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়াটা সময় সাপেক্ষে। তাছাড়া নানামুখী তদবির তৈরি হয়। নির্বাচনের সময়টা যত এগিয়ে আসবে, তদবির ততোটা বাড়বে। তাছাড়া এই সরকার এটি শেষ না করলে, নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা নিয়ে এদিকে মনোযোগ দিতে পারবে না। ফলে সেখান বাড়তি সময় চলে যাবে। এ কারণে অনেক কর্মকর্তার হয়তো চাকরির বয়স শেষ হয়ে যেতে পারে।

বিকেপি/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

অর্থ মন্ত্রণালয়

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর