গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বছরে বৈদেশিক বিনিয়োগে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৮
প্রতীকী ছবি
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মন্ডল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাধারণত বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু বাংলাদেশ এই ধারার ব্যতিক্রম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাউন্স ব্যাক করার অদ্ভুত ক্ষমতা। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সাধারণত বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস পায়। কিন্তু আমরা উল্টো চিত্র দেখছি।
তিনি আরও বলেন, সঠিক অর্থনৈতিক নীতি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের আন্তরিকতা, প্রাইভেট সেক্টরের উদ্যম— সম্মিলিতভাবে এফডিআই বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। আমরা শীঘ্রই সারা বছরের ‘আমলনামা’ (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করব।
বিশ্বব্যাংকের ডাটা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে, সেসব দেশে পরবর্তী বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। উদাহরণস্বরূপ, শ্রীলঙ্কায় ১৯.৪৯%, চিলিতে ২৫.৬৮%, সুদানে ২৭.৬০%, ইউক্রেনে ৬১.২১%, মিশরে ১০৭.৫৫% এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৬১.৪৯% হ্রাস ঘটেছে। এর বিপরীতে, বাংলাদেশের এফডিআই বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রমাণ।
-6908781ad84f1.jpg)
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই রেকর্ড এফডিআই প্রবৃদ্ধি দেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার একটি দৃঢ় সংকেত হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে ধরা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

