শিগগিরই দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহকরা : গভর্নর
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:০৫
ছবি : বাংলাদেশের খবর
একীভূত হওয়া পাঁচ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকের আমানতকারীরা চলতি নভেম্বর মাসের শেষ নাগাদ ধাপে ধাপে নিজেদের টাকা তুলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোতে এখনো পর্যাপ্ত তারল্য আছে এবং গ্রাহকের অর্থ নিরাপদ। তাই জরুরি প্রয়োজন না হলে আমানতকারীদের অযথা টাকা না তোলার পরামর্শও দেন গভর্নর।
সম্প্রতি আর্থিক অনিয়ম ও পুঁজি ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক-এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ব্যাংকগুলোর ওপর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু থাকবে স্বাভাবিকভাবে।

গভর্নর জানান, একীভূত হওয়ার পর এই নতুন ব্যাংকটি সরকারি মালিকানায় পরিচালিত হবে এবং গ্রাহকরা শুরু থেকেই বাজারভিত্তিক মুনাফা পাবেন। একই সঙ্গে এলসি ও রেমিট্যান্সের কাজও আগের মতো চলবে।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হবে না, বরং সবাই আগের নিয়মেই বেতন-ভাতা পাবেন।’
ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘নতুন ব্যাংকটি হবে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। সরকারের পরিবর্তন হলেও এর স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে না।’
তিনি জানান, ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বিশেষ অডিট চলছে এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে পুনর্গঠন বা আরও একীভূতকরণের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গভর্নর বলেন, ‘সম্পদের তুলনায় দায় বেশি থাকায় এসব ব্যাংকের শেয়ারমূল্য শূন্য ধরা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যারা ব্যাংক খাতের ক্ষতি করেছে-তাদের আর ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হবে না।’
- এএইচএস/এমআই

