Logo

অর্থনীতি

শেষ সময়ে সূচক ঘুরে দাঁড়াল, লেনদেন ২০০ কোটি টাকায়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৭

শেষ সময়ে সূচক ঘুরে দাঁড়াল, লেনদেন ২০০ কোটি টাকায়

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৬ নভেম্বর) লেনদেন শুরুর পর থেকেই শেয়ারবাজারে ছিল দরপতনের চাপ। তবে শেষ ঘণ্টায় ক্রেতার সক্রিয়তা বাড়ায় বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। দিনের শেষে বাজারে বাড়তি দামের তালিকা দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। মূলত শেষদিকে বাজারে ক্রেতা বেশি থাকায় এই ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। 

প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে বেশিরভাগ শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার সঙ্গে সব সূচকই উর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে লেনদেন কমে ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরপতনের কারণে সূচক নেমে গেছে। একই সঙ্গে লেনদেনও কমে টানা ১১ কার্যদিবস মূল্যসূচক পতিত হয়েছে। 

এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হওয়ার প্রথম ১০ মিনিটেই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরপতনের তালিকায় চলে আসে। ফলে এক পর্যায়ে প্রধান মূল্যসূচক ৭৮ পয়েন্ট কমে যায় এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও ঢালাও দরপতনের শঙ্কা দেখা দেয়।

কিন্তু লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় পরিস্থিতি পাল্টে যায়। কিছু বিনিয়োগকারী হঠাৎ শেয়ার কেনার আদেশ বাড়াতে থাকায় দাম কমার তালিকা থেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানগুলো বের হয়ে আসে। এর ফলে বড় পতন থেকে বের হয়ে সূচক উর্ধ্বমুখী হয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এবং দাম কমেছে ১১৩টির। আর ও ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের  দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৫৭টির দাম কমেছে এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১৭টির দাম কমেছে এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে থাকা ৪৭টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৩৮টির দাম কমেছে এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৭টির দাম বেড়েছে, ৮টির দাম কমেছে এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৩২ পয়েন্টে পৌঁছেছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে উঠেছে।

সব সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন কমে ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে গেছে। বাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। যা আগের কার্যদিবসের ৩৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার তুলনায় ৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা কম।

লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার, যার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার লেনদেন, যার পরিমাণ ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। তৃতীয় স্থানে সামিট এলায়েন্স পোর্টের শেয়ার, যার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, শাহজিবাজার পাওয়ার, সিটি ব্যাংক, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৭৪ পয়েন্ট কমেছে। বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৭টির দাম বেড়েছে, ৮২টির দাম কমেছে এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার তুলনায় কম।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

শেয়ারবাজার

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর