Logo

অর্থনীতি

সহজ শর্তে হোম লোন কারা, কীভাবে পাবেন

Icon

নির্মাণ ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৫৫

সহজ শর্তে হোম লোন কারা, কীভাবে পাবেন

নিজস্ব একটি বাড়ি নির্মাণের স্বপ্ন সবারই থাকে। এটি শুধু স্বপ্ন নয়, নিরাপত্তা ও স্থায়ী আশ্রয়েরও প্রতীক। তবে এই স্বপ্ন পূরণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা। দীর্ঘ দিনের সঞ্চয় দিয়েও অনেক সময় কাঙ্খিত বাড়ি কেনা বা নির্মাণ সম্ভব হয় না। 

এ পরিস্থিতিতে আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থার হোম লোন একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাসাভাড়ার চাপ না টেনে সহজ শর্তে কাদের জন্য এবং কীভাবে হোম লোন পাওয়া যায়, এ সম্পর্কে জানা যাক।

হোম লোনের ধরন
হোম লোন এমন একটি দীর্ঘমেয়াদি ঋণসুবিধা, যা দিয়ে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের বাড়ি কেনা, নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণ বা বিদ্যমান বাড়ি সংস্কারের জন্য অর্থ প্রদান করে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো গ্রাহককে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে হয় না; বরং দীর্ঘ সময় ধরে সহজ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করা যায়। এতে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষও নিজেদের আবাসনের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।

হোম লোন সাধারণত ১৫ থেকে ২৫ বছর মেয়াদে পাওয়া যায়। ব্যাংকগুলো গ্রাহকের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক কিস্তি নির্ধারণ করে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই লোনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সুবিধামতো পুরো ঋণ বা এর অংশবিশেষ পরিশোধের সুযোগ থাকে। এতে অতিরিক্ত চার্জ বা জরিমানার ঝামেলা থাকে না।

নিরাপত্তা ও আইনগত যাচাই
হোম লোন নেওয়ার আগে কেনা সম্পত্তির বৈধতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য অনেক ব্যাংকই লিগ্যাল ও টেকনিক্যাল টিমের মাধ্যমে জমির কাগজপত্র, মালিকানা, নির্মাণ অনুমোদন প্রভৃতি যাচাই করে দেয়। যেমন ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডে হোম লোন শুধু ঋণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, গ্রাহকেরা যেন নিশ্চিন্তে ঝুঁকিমুক্ত সম্পত্তি কিনতে পারেন, সেটিও তারা নিশ্চিত করে। এ সহায়তা ভবিষ্যতের আইনি জটিলতা এড়াতে সাহায্য করে।

যারা নিতে পারবেন হোম লোন
সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী বা স্বনির্ভর পেশাজীবীরা সাধারণত এ সুবিধা নিতে পারেন। আবেদন করতে যে নথিগুলো প্রয়োজন, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, নিজের ছবি, আয়সংক্রান্ত কাগজপত্র, গত এক বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ই-টিআইএন ও কর রিটার্ন, জমির দলিল বা মালিকানার প্রমাণপত্র।

এ প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের হেড অব রিটেইল বিজনেস মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, হোম লোন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এবং কাগজপত্রের অনেক ঝামেলা থাকে বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু ব্যাপারটি মোটেও তেমন নয়। প্রক্রিয়াটি এখন অনেক সহজ। এমনকি কেনা সম্পত্তির বৈধতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণেও ব্যাংকগুলো এখন সাহায্য করে।

সুদের হার ও অফার
হোম লোনের সুদের হার ব্যাংকভেদে পরিবর্তিত হয়। বাজার পরিস্থিতি ও গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় হার নির্ধারণ করা হয়। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ইবিএল, আইপিডিসিসহ অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বল্প ইন্টারেস্ট রেটে ঋণ প্রদান করে। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান হোম লোন গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার বা ডিসকাউন্ট দেয়। যেমন ইবিএলের চলমান এক্সক্লুসিভ ক্যাম্পেইনে গ্রাহকেরা কনকর্ড, বার্জার, আকিজ সিরামিকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট কুপন পাচ্ছেন, যা নতুন বাসা সাজাতে কাজে আসবে। তবে নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক বিনিয়োগ। তাই হোম লোন নেওয়ার আগে আয়ের স্থায়িত্ব, ব্যয়ের ধরন, সঞ্চয়ের লক্ষ্য এবং ভবিষ্যতের আর্থিক পরিকল্পনা পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করা জরুরি। সঠিক পরিকল্পনা ও নির্ভরযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা পেলে স্বপ্ন পূরণে আর বাধা থাকে না।

বিকেপি/এমবি

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

নির্মাণ কথা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর