রাজধানীর বাজারে শীতের সবজি ভরপুর হলেও এখনো কমছে না দাম। বাজারজুড়ে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো, মুলা, শালগম, বরবটি, করলা, লাউ, পালংশাকসহ প্রায় সব ধরনের শীতকালীন সবজি মিলছে। কিন্তু দামের উচ্চতা ভোক্তাদের নাভিশ্বাস তুলেছে।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, মৌসুমি সরবরাহ বাড়লেও মূল্য কমছে না। একদিকে কৃষক ন্যায্য দাম পান না, অন্যদিকে ভোক্তাও স্বস্তিমূল্য পান না বলে। অভিযোগ রয়েছে, সক্রিয় মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটই সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকায় বছর বছর এমন পরিস্থিতি চলছেই।

শুক্রবার বাজারে দেখা যায়, প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০–৬০ টাকায়। বেগুন ও শিমের কেজি ১০০–১২০ টাকা, মুলা ৪০–৫০ টাকা, টমেটো ১২০–১৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ, বরবটি ও করলা ১০০–১২০ টাকা। ঢ্যাঁড়স ৬০–৮০, পটোল ৫০–৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতাদের দাবি, অক্টোবরে অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে সারা দেশে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এ কারণে উৎপাদন এলাকাতেই দাম বেশি, যার প্রভাব পড়ছে ঢাকার পাইকারি ও খুচরা বাজারে। নতুন করে লাগানো সবজির সরবরাহ নিয়মিত হতে আরও ৭–১০ দিন সময় লাগবে বলে আড়তদের ধারণা।

পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিম্নমুখী হলেও এখনো কেজি ১০০–১২০ টাকার মধ্যে। সবজির পাশাপাশি নতুন আলুর কেজি ১৪০–১৬০ টাকা, পুরোনো আলুর দাম ২৫–৩০ টাকা।

এদিকে মুরগি ও ডিমের বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল। ফিডের দাম বৃদ্ধির কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে কেজি ১৯০ টাকায় উঠেছে। সোনালি মুরগি ৩০০–৩৩০, দেশি মুরগি ৫৫০–৬৫০ টাকা কেজি। ডজনপ্রতি ডিম ১২৫–১৩০ টাকা।

মাছের বাজারেও উচ্চদামের চাপ। মাঝারি ইলিশের কেজি ১৫০০ টাকা, বড় ইলিশ ২০০০–৩০০০ টাকা। রুই, কাতল, মৃগেল ৩০০–৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমদামি পাঙ্গাস-তেলাপিয়া ১৯০–২৫০ টাকার নিচে নেই।

বাজারের বর্তমান অস্থিরতা নিয়ে ক্রেতারা মনে করছেন— সরবরাহ আরও বাড়লে হয়ত সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে।

এমএইচএস