Logo

অর্থনীতি

পুঁজিবাজারে টিকতে পারছেন না কেউ

Icon

এম এম হাসান

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৫

পুঁজিবাজারে টিকতে পারছেন না কেউ

দেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘ বছর ধরে ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও সেই স্বপ্নে ভাঙন ধরতে বেশি সময় লাগেনি। দুর্বল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সুনজরে ঘাটতি থাকায় বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চরম ভাটা পড়ে। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের পুরো সময়ে বাজারে অস্থিরতা দেখা যায়। এ অস্থিরতা ও অনাস্থায় বিনিয়োগকারীদের বড় একটি অংশ বাজারে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। শুধু বিনিয়োগকারীই নয়, বাজার অংশীজনরাও (ট্রেক হোল্ডার) নিজেদের ব্যবসা ছোট করে নিচ্ছে। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর শাখা অফিসের পাশাপাশি কেউ কেউ মূল অফিসের কার্যক্রমও বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হচ্ছে।

বাজার চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৩৫০ পয়েন্ট। বাজারে গড় লেনদেনও আগের বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এই সময়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিষ্ক্রিয় হয়েছেন প্রায় ৬৭ হাজার বিনিয়োগকারী। দৈনিক লেনদেনের চাপ কমায় ট্রেকহোল্ডাররাও তাদের ব্যবসায়িক গণ্ডি ছোট করে নিয়েছেন। কেউ কেউ ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেন ব্যবস্থা প্রথম পাতার পর

সংস্কার কাজের কথা জানিয়ে কৌশলে লোকসান এড়াতে বন্ধ রাখছেন শেয়ার কেনা-বেচার ব্যবসা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের এই দুরবস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। ২০১০ সালের মহাধসের পর মার্জিন ঋণ সমন্বয় না করে ঝুলিয়ে রাখা এর অন্যতম কারণ। ওই সময় যদি মার্জিন ঋণ সমন্বয় করা হতো, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে এ বিষয়টি বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারত না। তাছাড়া, গত ১৫ বছরে যেসব প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাজারে এসেছে, তার মধ্যে দুই-চারটা বাদে সবই খারাপ ছিল। বছরের পর বছর ধরে বাজার যে খারাপ আচরণ করছে, এটি আগের ভুল সিদ্ধান্তেরই ফল। দীর্ঘ বছরের খারাপ সিদ্ধান্তের জন্যই ২০১০ সালের ৩৬ লাখ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাবধারীর সংখ্যা এখন ১৬ লাখে নেমেছে। আর বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমায় বাজারে লেনদেনও কমেছে। এতে লেনদেন থেকে ব্রোকারেজ হাউজগুলো যে কমিশন পাচ্ছে, তা নিয়ে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)-এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘বাজারে ভালো শেয়ার থাকলে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। তখন আর বাজারে লেনদেন স্বল্পতার ঝামেলায় পড়তে হয় না। আমাদের বাজারে হাজার কোটি টাকার নিচে লেনদেন হলেই স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর টিকে থাকার সক্ষমতা ঝুঁকিতে পড়ে যায়। কেননা, স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান আয়ের উৎস লেনদেন থেকে প্রাপ্ত কমিশন। তাই, এই স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে টিকিয়ে রাখতে ভালো শেয়ার নিয়ে আসা এবং লেনদেন বাড়ানোর বিকল্প নেই।

এই বিশ্লেষক মনে করেন, ‘রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসলে পুঁজিবাজারে অনেকগুলো ভালো কোম্পানি আসবে এবং বিনিয়োগকারীও বাজারমুখী হবেন।’

বন্ধ হচ্ছে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা ও মূল অফিস : বিও হিসাবধারীদের লেনদেন সুবিধা দিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে নিবন্ধিত ট্রেক সনদ নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে ব্রোকারেজ হাউজগুলো। এখন পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক হোল্ডার হিসেবে ব্যবসা শুরু করেছে ৩০৭টি ব্রোকারেজ হাউজ। এর মধ্যে গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। 

সচল থাকা বাকি ৩০২টি ব্রোকারেজ হাউজের মূল অফিস ও শাখা অফিসের সংখ্যা প্রায় এক হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে অনেকেই বাজারে লেনদেন কম থাকায় লোকসান এড়াতে শাখা অফিস বন্ধ রাখার পাশাপাশি মূল অফিসের কার্যক্রমও কৌশলে বন্ধ রাখছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মূল অফিস ও শাখা অফিসের অধিকাংশই রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম অঞ্চলে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সচল থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মূল অফিস ও শাখা অফিস বন্ধ হয়েছে ১১৭টি। বাজারে লেনদেন কম হওয়া, সনদ নবায়ন না হওয়া এবং অফিস সংস্কারের কথা জানিয়ে বন্ধ রাখা হচ্ছে এসব হাউজ। এর মধ্যে বিকল্প লেনদেন অফিস না থাকায় কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের হিসাবধারী এখন শেয়ার লেনদেনও করতে পারছে না।

চলতি বছরে সাদ সিকিউরিটিজের দুইটি শাখা অফিস বন্ধ হয়েছে। তাদের মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জের অফিস দুটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এই সিকিউরিটিজ হাউজটির চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘বাজার এখন যে গতিতে চলছে, তাতে শুধু শাখা অফিস নয়, সব অফিসে তালা ঝুঁলিয়ে দেওয়া উচিত। শাখা অফিস রেখে খরচ বাড়ানো ছাড়া, কিছুই হচ্ছে না। ব্যবসা চালিয়ে নিতে না পেরে শাখা অফিস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।’

বন্ধ রয়েছে ইউনাইটেড সিকিউরিটিজের প্রধান কার্যালয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি এটিকে সরাসরি বন্ধ না বলে সংস্কার কাজ চলছে বলে জানায়। এই সিকিউরিটিজ হাউজটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. সাব্বির হুসাইন বলেন, ‘আমাদের প্রধান কার্যালয়ে রিনোভেশন (সংস্কার) চলছে। একই ভবনের ৮ তলা থেকে ১১ তলায় অফিস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

চলতি বছরে বন্ধ হয়েছে শার্প সিকিউরিটিজের একটি শাখা অফিস। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রধানত দুটি কারণে আমাদের শাখা অফিস বন্ধ করা হয়েছে। একটি হলো- আমরা ক্লায়েন্টদের (বিও হিসাবধারীদের) সেবা অনলাইনে দেওয়ার প্রতি জোর দিচ্ছি। দ্বিতীয়ত, বাজারে যে পরিমাণ লেনদেন হচ্ছে তাতে কষ্ট (খরচ) কমানোর কথাও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।’

স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউজ কত কমিশন নেয় : সাধারণত, প্রতি ১০০ টাকার শেয়ার লেনদেনের উপর সর্বনিম্ন ৩৫ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন কমিশন নিতে পারে ব্রোকারেজ হাউজ। অর্থাৎ কোন বিনিয়োগকারী ১০০ টাকার শেয়ার কিনলে বা বিক্রি করলে তা থেকে সর্বনিম্ন ৩৫ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা পর্যন্ত কমিশন কেটে নিতে পারে ব্রোকারেজ হাউজ। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর এই আয় থেকে শতকরা সর্বনি¤œ ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০ পয়সা পর্যন্ত কমিশন নেয় স্টক এক্সচেঞ্জ। অর্থাৎ এক লাখ টাকা লেনদেন হলে ব্রোকারেজ হাউজ পায় ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং স্টক এক্সচেঞ্জ পায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

এর বাইরে, প্রতিটি বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি বা মাশুল হিসেবে বছরে ৫০ টাকা হারে চার্জ নেয় ব্রোকারেজ হাউজ। এতদিন ১৫০ টাকা হারে এই চার্জ পেত, যা স¤প্রতি কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। এই চার্জের ভাগ অবশ্য স্টক এক্সচেঞ্জ পায় না। তবে স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে চার্জ, ডেটা বিক্রয়, লাইসেন্সিং ফি এবং প্রশিক্ষণ একাডেমির কার্যক্রম থেকেও রাজস্ব আয় করে থাকে। এতসব আয়ের মাধ্যম থাকলেও লেনদেন থেকে প্রাপ্ত কমিশন আয়ই স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান উৎস।

হাউজ বন্ধ হওয়ায় ঝামেলায় পড়ছেন বিনিয়োগকারীরাও : সনদ নবায়ন জটিলতায় এক সময়ের দাপুটে ব্রোকারেজ হাউজ বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের লেনদেন বন্ধ রয়েছে। এই ব্রোকারেজ হাউজটির বিও হিসাবধারী মাসুদ আহমেদের পুঁজিবাজারে ১৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। বিপরীতে তার কেনা সিকিউরিটিজের বাজার মূল্য গত ৯ নভেম্বর দাঁড়ায় আট লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ বিনিয়োগের মূলধন থেকে তার অবাস্তবায়িত ক্ষতি (আনরিয়েলাইজড লস) ১০ লাখ ১৫ হাজার টাকা। 

মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘আমার টাকার খুবই প্রয়োজন ছিল। তাই লোকসান নিয়েই একটি শেয়ার বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, হাউজের লেনদেন বন্ধ রয়েছে। বিপদের সময়ে যদি টাকা তুলতে না পারি, এমন বিনিয়োগ দিয়ে কি হবে?’

চলতি বছরে নিষ্ক্রিয় ৬৭ হাজার বিনিয়োগকারী : ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৬৬ হাজার ৭৭৭টি বিও হিসাবধারী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে সরাসরি বিও হিসাব বন্ধ হওয়ায় বাজার ছেড়েছেন ৪৭ হাজার ৩১৭ জন বিনিয়োগকারী। এছাড়া ১৯ হাজার ৪৬০ জন বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব শেয়ারশূন্য হয়েছে আলোচিত সময়ে।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ নভেম্বর শেষে পুঁজিবাজারে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭২টি। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৫২টি। আর গত ২০ নভেম্বর শেষে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৮টি। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল তিন লাখ ৪৩ হাজার ৯৭৪টি।

লেনদেন খরায় স্টক এক্সচেঞ্জেও লোকসান : বিনিয়োগকারীর পুঁজিবাজার ছেড়ে দেওয়া এবং বাজারে লেনদেন উল্লেখযোগ্যহারে কমে যাওয়ায় ব্রোকাজের হাউজগুলোর পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জও ভালো ব্যবসা করতে পারছে না। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বড় অঙ্কের পরিচালন লোকসান হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির ব্রোকারেজ হাউজ থেকে প্রাপ্ত লেনদেন কমিশনে ভাটা পড়ায় এই লোকসান গুনতে হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে দেড় লাখ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। সেই হিসাবে বছরের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন কমেছে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা বা ২৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে চার হাজার ছয় কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে যা হয়েছিল সাত হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে সিএসইর লেনদেন কমেছে তিন হাজার ৪৭২ কোটি টাকা বা ৪৬ শতাংশ।

লেনদেন কমায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএসইর পরিচালন লোকসান হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা এবং সিএসইতে যা প্রায় ১৫ কোটি টাকা। শুধু এই অর্থবছরেই নয়, আগের অর্থবছরেও লেনদেন খরায় স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির বড় অংকের পরিচালন লোকসান হয়েছিল। ওইবছর ডিএসইতে ২১ কোটি টাকা এবং সিএসইতে ১১ কোটি টাকা পরিচালন লোকসান হয়েছিল।

বিনিয়োগকারী ও ট্রেকহোল্ডারদের ধরে রাখতে করণীয় কী : ব্রোকারেজ হাউজগুলোর একমাত্র সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)-এর সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অধিকাংশ ব্রোকারেজ হাউজই এখন টিকে থাকার মতো প্রফিট (মুনাফা) করতে পারছে না। ভালো শেয়ার না থাকায় বিনিয়োগকারী ভালো প্রফিট করতে পারছে না, আর বাজারে লেনদেন কমায় ব্রোকারেজ হাউজগুলোরও সেইম (একই) অবস্থা। বাজারে এমন কিছু কোম্পানি আনতে হবে, যারা বিনিয়োগকারীদের আস্থা অনুযায়ী ভালো প্রফিট দিতে সক্ষম হবে। সরকার ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে হবে। শুধুমাত্র পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার একক প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব নয়।’

ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক রিচার্ড ডি’ রোজারিও বলেন, ‘আমাদের দেশের পুঁজিবাজারের সাইজ অনুযায়ী ৯০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন না হলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর টিকে থাকার সক্ষমতা থাকে না। শুধু ব্রোকারেজ হাউজই নয়, স্টক এক্সচেঞ্জেরও টিকে থাকার সক্ষমতা থাকে না। স্টক এক্সচেঞ্জের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ ব্রোকাজের হাউজেরই সেটি নেই। ফলে লোকসান করে চলতে হচ্ছে অনেক হাউজকেই। এমন পরিস্থিতিতে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মূল অফিস কিংবা শাখা অফিস বন্ধ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।’

আইএইচ/ 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

পুঁজিবাজার

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর