বছরের প্রথম দিনেই শুরু বাণিজ্য মেলা, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৪০
নতুন বছরের প্রথম দিনেই শুরু হতে যাওয়া বাণিজ্য মেলায় খাবার পানির বোতল বাদে একবার ব্যবহার্য সব ধরনের প্লাস্টিক, পলিথিন ব্যাগ ও প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ত্রিশতম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। যেখানে আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হবে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা। সেদিন সকাল ১০টায় মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বাণিজ্য সচিব বলেন, মেলায় অংশ নেওয়া যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের ব্যবহারেও পলিথিন বা প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করবে, তারা সেরা প্যাভিলিয়ন বা স্টল সম্পর্কিত কোনো ধরনের পুরস্কার পাবে না।
মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বছরে উল্লেখ করার মতন একটি বিশেষ বিষয় হবে যে, এই বছরে মেলা থেকে আমরা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক তথা পলিথিন বর্জন করেছি। এ বছরের ৩০তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এই পূর্বাচলে পলিথিনের কোনো ব্যাগ অ্যালাউ করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, পানিটা তো আপনারা জানেন যে- পানি মানুষ কিনে খায়, এখনও কাঁচের বোতলে আমরা সরবরাহ করতে পারব না এ বছরও, আগামী বছর থেকে আমরা ডিস্পেন্সার দেওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করব।
কিন্তু এ বছর পর্যন্ত সেই ব্যবস্থাপনা আমরা করতে পারব না বলে পলিথিনের বোতলটা আমরা অ্যালাউ করব, বাট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু বিশেষভাবে হলো পলিথিনের ব্যাগ চলবে না এখানে।
যেসব স্টল নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস বহনে এ জাতীয় ব্যাগ ব্যবহার করবে, তাদের বিষয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘যারা পলিথিনের ব্যাগ আনবে, ব্যাগে তাদের নিজস্ব পণ্য বহন করবে; তারাও ওই যে শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়ন, শ্রেষ্ঠ স্টল যে আমরা নির্বাচন করে তাদেরকে পুরস্কৃত করি, এবার তারা পুরস্কারের জন্য যোগ্য হবে না। বিবেচিত হবে না।
‘সবচেয়ে ভালো স্টল বা প্যাভিলিয়নটা যদি হয়, সে প্লাস্টিক ইউজ করলেই সে কোনোভাবে কোনো পুরস্কারের জন্য যোগ্য হবে না।’
এবারের বাণিজ্য মেলায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদের স্মরণে স্থিরচিত্র প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ স্কয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। মেলায় সম্ভাবনাময় খাত বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিদেশি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকবে ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে দুটি শিশু পার্ক।
পণ্য প্রসার ও বিপণনের জন্য মেলায় থাকবে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। নারী, প্রতিবন্ধী কুটির, তাঁত, বস্ত্র ও হস্ত শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংরক্ষিত স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
এবার বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩২৪টি প্যাভিলিয়ন, স্টল দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভারত, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়ার মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত বছরের মেলায় মোট ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
এমবি

