Logo

শিক্ষা

পাঠ্যবইয়ের ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চায় মন্ত্রণালয়

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৬:৫৩

পাঠ্যবইয়ের ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চায় মন্ত্রণালয়

কোলাজ : বাংলাদেশের খবর

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইগুলো আরও নির্ভুল ও আধুনিক করতে উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাঠ্যপুস্তকের ভুল, অসংগতি এবং সংশোধনের প্রয়োজনীয় দিকগুলো চিহ্নিত করে সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাঠদানকারী শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্ধারিত ছক অনুযায়ী পাঠ্যবই পর্যালোচনা করে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সুপারিশ জমা দিতে হবে। সুপারিশ পাঠাতে হবে হার্ডকপি এবং সফট কপিতে (নিকোশব্যান ফন্ট, সাইজ ১২) এই ঠিকানায় : [govt.sec2@moedu.gov.bd] (mailto:govt.sec2@moedu.gov.bd)।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা একটি অফিস আদেশে জানা যায়, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দুধর্ম, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য—এই বিষয়ের বইগুলো পর্যালোচনার আওতায় থাকবে।

প্রতিটি প্রস্তাবে অধ্যায়, পৃষ্ঠা ও লাইনের নির্দিষ্ট উল্লেখসহ কীভাবে লেখা আছে এবং কীভাবে সংশোধন করা যেতে পারে, তা যৌক্তিক ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপন করতে হবে। সংশোধনের ক্ষেত্রে ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমে নির্ধারিত শিখনফল অনুসরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের খসড়া পাঠ্যবই সম্পর্কেও সুপারিশ চাওয়া হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকে ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, পেশা কিংবা ক্ষুদ্র জাতিসত্তা সম্পর্কিত কোনো বৈষম্যমূলক শব্দ, বাক্য, তথ্য বা চিত্র থাকলে তা চিহ্নিত করে সুস্পষ্টভাবে সংশোধনের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। একইভাবে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশপ্রেম, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং জাতীয় চেতনার বিরোধী কোনো উপাদান থাকলে সেটিও সংশোধনের জন্য উল্লেখ করতে হবে।

তথ্যসূত্র যাচাই করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে হালনাগাদ তথ্য দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রণীত বানান অভিধান অনুসরণ করে প্রয়োজনে বানান সংশোধনের সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। তবে পাঠ্যবইয়ের মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রাখার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্ধারিত ছকের বাইরেও যদি শিক্ষকদের কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকে, তবে তা আলাদা কাগজে নাম ও স্বাক্ষরসহ সফট কপিতে পাঠানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো পাঠ্যবইগুলোকে আরও আধুনিক, তথ্যসমৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে তোলা।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর