৪ দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান ছাড়বেন না ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:০৯

ছবি : বাংলাদেশের খবর
সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।
তারা ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ অধ্যাদেশ দ্রুত জারি করার দাবিতে আন্দোলন করছে।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি স্মৃতি আক্তার বলেন, “আমাদের চার দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ব না। কেউ আমাদের আন্দোলন থামাতে পারবে না।” শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী জিসান বলেন, “সরকার সাত কলেজকে কেন্দ্র করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু এখনও অধ্যাদেশ জারি হয়নি। আমরা আজকেই অধ্যাদেশ জারি চাই। বিলম্ব হলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।”
তাদের চার দফা দাবি হলো—
- অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে অধ্যাদেশের খসড়া সংশোধন করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি।
- চলমান সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিনা শর্তে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বীকৃতি দেওয়া।
- অধ্যাদেশ জারির পর ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু।
- শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও ফেল হুমকি প্রদানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া।
সোমবার সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিলের মাধ্যমে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দেন।
অবস্থান কর্মসূচির কারণে শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় অভিমুখী উভয়পাশের সড়ক বন্ধ রয়েছে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের সচিবালয় অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা আটকাতে ব্যারিকেড, জলকামান ও রায়টকার মোতায়েন করেছে।
গত ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত নাম নির্ধারণ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। সাত কলেজের মধ্যে রয়েছে— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
এসআইবি/এনএমএম/এমএইচএস