
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে নামাজ ও সংসারের কাজ সামলে নেন তিনি। পরিবারের সকালের নাশতা তৈরি, সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর প্রস্তুতি-সবকিছু শেষ করে নিজের জন্য শাড়ি ও খাতা-কলম গুছিয়ে নেন। এরপর সময়মতো স্কুলে যাওয়ার জন্য রওনা দেন।
স্কুলে পৌঁছে সকালের সমাবেশে অংশ নেন। জাতীয় সঙ্গীত, প্রার্থনা ও শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখা- এসব দিয়ে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। তারপর একের পর এক ক্লাসে তিনি পড়ান- বাংলা, গণিত, ইংরেজি কিংবা সাধারণ বিজ্ঞান। বাচ্চাদের পাঠ বোঝাতে ছবি আঁকেন, খেলা খেলা করেন, গল্প বলেন।
টিফিনের সময় শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে যান। তাদের খাওয়া-দাওয়া ও খেলাধুলার খোঁজখবর নেন। সহকর্মীদের সঙ্গে কিছুটা সময় আলাপ হয়। আবার শুরু হয় পাঠদান, কখনও কবিতা আবৃত্তি, কখনও গান, কখনও হাতের কাজ। ক্লাস শেষে বাড়ির কাজ দিয়ে দেন এবং শিক্ষার্থীদের বিদায় জানান।
বিকালে বাসায় ফিরে গৃহস্থালির কাজে মনোযোগ দেন। রান্না, সংসার সামলানো আর সন্তানদের পড়াশোনার যত্ন-সব একসাথে চলে। বিকেল বা সন্ধ্যায় পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান।
আবার রাতেও দায়িত্ব ফুরোয় না। সন্তানদের পড়াশোনায় সাহায্য করেন, স্কুলের খাতা পরীক্ষা করেন, পাঠ পরিকল্পনা ঠিক করেন। অবশেষে রাত গভীর হলে দিনের সব কাজ শেষ করে তিনি বিশ্রামে যান।
এভাবেই একজন প্রাথমিক শিক্ষিকার দিন কাটে- পরিবার ও বিদ্যালয়ের দায়িত্বের সমন্বয়ে, পরিশ্রম ও ভালোবাসায় ভরা এক দীর্ঘ দিন।
বিকেপি/এমবি