বই পড়ার গুরুত্ব ও আনন্দ : জ্ঞানের প্রকৃত বিকাশের উত্তম পন্থা
জয়নাব বেগম
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২২
সৃষ্টির প্রথম প্রভাতে মানুষ নিজেকে জেনে সন্তুষ্ট থাকতে পারেনি। অন্যের কাছে নিজেকে জানাতে চেয়েছে সে। মানুষ তার নিজের সুখ, দুঃখ অনুভূতি অন্যের কাছে প্রকাশ করে তৃপ্ত হতে চায় সে। এই জানানোর মধ্যে দিয়ে তার আনন্দ। এই আনন্দের যোগান দিতে পারে বই। আরবী ভাষায় একটি বিখ্যাত প্রবাদ আছে- অখাইরো জালিদিন ফিজ জমানে কিতাবুন। অর্থাৎ সময়ের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হল বই।
বই পড়ার গুরুত্ব :
সুধী ব্যক্তিরা বলেন,“জবধফরহম সধশবঃয ধ সধহ পড়সঢ়ষবঃব” অর্থাৎ কেবল অধ্যায়নই মানুষের জীবনে পরিপূর্ণতা দান করতে সক্ষম। এ কথা বলা বাহুল্য বাস্তব জীবনের প্রতিটি মানুষেই অপূর্ণতার বেদনায় আক্রান্ত। তাই বাস্তবে অপূণ মানুষ গ্রন্থের মাঝে পূর্ণতার স্বাদ পেতে চায়। শুধু তাই নয়, বিশাল ব্রহ্মান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের ব্যাপক অভিজ্ঞতা লাভের একান্ত প্রয়োজন। তাই বই পড়া মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বই পড়া সম্পর্কে প্রমথ চৌধুরী বলেছেন,জ্ঞানের ভান্ডার যে ধনের ভান্ডার নয় এই সত্য তো প্রত্যেক্ষ । কিন্তু সমান প্রত্যেক্ষ না হলে ও সমান সত্য যে জাতির জ্ঞানের ভান্ডার শুন্য সেই জাতির ধনের ভাড় ও ভবানী। তারপর যে জাতি মনে বড় নয় সেই জাতি জ্ঞানে ও বড়ো নয়। কেননা, ধনের সৃষ্টি যেমন জ্ঞান সাপেক্ষ তেমনি জ্ঞানের সৃষ্টি ও মন সাপেক্ষ।
বই পড়া নিয়ে প্রমথ চৌধুরীর অভিমত :
বইপড়ার পক্ষে প্রমথ চৌধুরী অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিমত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বইপড়া যে ভালো তা কে না মানে? আমার উত্তর সকলে মুখে মানলে ও কাজে মানে না। আমাদের শিক্ষিত সমাজে মোটের উপর বাধ্য না হলে বই ক্রয় করেন না । ছেলেরা যে নোট পড়েন, ছেলের বাপেরা যে নজির পড়েন দুটো বাধ্য হয়ে।
সেই জন্য সাহিত্য চর্চা দেশে একরকম নাই বললে চলে। কেননা, সাহিত্য সাক্ষাতভাবে উদ্বর্তীর কাজে লাগে না।

