সাংবাদিকতা ও ওকালতিসহ যেসব কাজ করতে পারবেন না শিক্ষকরা
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৩১
ছবি : সংগৃহীত
এখন থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্য কোনো ‘আর্থিক লাভজনক’ পেশায় জড়িত থাকতে পারবে না বলে নীতিমালা জারি করেছে সরকার। আর্থিক লাভজনক কয়েকটি পেশার মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকতা, আইন পেশা, বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পাশাপাশি অনেকে অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আছেন। এত দিন এ কাজে কোনো আইনি বাধা ছিল না। তবে নতুন নীতিমালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অন্য কোনো চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত নীতিমালার ‘ক’ ধারায় বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক-কর্মচারী একই সঙ্গে একাধিক কোনো পদে/চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবে না। এটি তদন্তে প্রমাণিত হলে সরকার তার এমপিও বাতিলসহ দায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
‘খ’ বিধিতে ‘আর্থিক লাভজনক’ পদ বলতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো ধরনের বেতন/ভাতা/সম্মানী এবং বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান/সংস্থায়/বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান/সাংবাদিকতা/আইন পেশায় কর্মের বিনিময়ে বেতন/ভাতা/সম্মানীকে বোঝাবে।
এদিকে নীতিমালার বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির জন্য আবশ্যকীয় শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানকে (স্কুল ও কলেজ) অবশ্যই পাবলিক পরীক্ষায় পরিশিষ্ট ‘গ’ মোতাবেক কাম্য পরীক্ষার্থী থাকতে হবে ও ন্যূনতম পাসের হার অর্জন করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষকরা নিয়োগকালীন কাম্য শিক্ষা যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে দশম গ্রেডে সন্তোষজনক ১০ (দশ) বছর চাকরি পূর্তিতে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদোন্নতি পাবেন।
সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) তার উচ্চতর গ্রেডের আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন তবে তিনি সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্য হবেন না। সহকারী শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির পরে দশম গ্রেডে ১০ (দশ) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা। বেতন গ্রেড-৯ (২২০০০-৫৩০৬০)।
এআরএস

