Logo

শিক্ষা

আজ আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস

ঢাবি আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভাবনা

Icon

জোবাইদুল ইসলাম

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০২

ঢাবি আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভাবনা

আরবি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। এটি কোরআনের ভাষা, হাদিসের ভাষা। আরবি ভাষার রয়েছে অনন্য মর্যাদা। এ ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসে আরবি ভাষার গুরুত্ব বিষয়ে আরবি বিভাগের ৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর অভিমত তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জোবাইদুল ইসলাম

আরবি ভাষা জ্ঞানের বিশাল সম্ভাবনাকে উন্মোচন করে

আরবি ভাষা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন, সমৃদ্ধ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাষা। এটি শুধু একটি ভাষা নয় বরং এটি একটি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের ধারক। বিশ্বের প্রায় ৩৮০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মুখের ভাষা আরবি। আধুনিক প্রমিত আরবি ২৮টি। ২৮টি রাষ্ট্রের সরকারি ভাষা। ইসলাম ধর্মের পবিত্র ভাষা এবং কোরআন মাজিদের মূল ভাষা হওয়ায় মুসলিম বিশ্বে এ ভাষার রয়েছে আলাদা গুরুত্ব।

আরবি ভাষা শিক্ষা মুসলিম সমাজে ব্যপকভাবে সমাদৃত। কারণ নামাজ, দোয়া ও অন্যান্য ইবাদতের ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য। তাছাড়া ইসলামের মৌলিক জ্ঞান অর্জনের জন্য আরবি ভাষা চর্চা আবশ্যক। শুধু ধর্মীয় কারণেই নয়, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকেও আরবি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মসংস্থান এবং ব্যবসায়িক যোগাযোগে আরবি জানা মানুষদের অনেক চাহিদা রয়েছে। সাহিত্য, চিকিৎসা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের বহু গ্রন্থ আরবিতে রচিত হয়েছে, যা আজও বিশ্বকে প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করে চলেছে। তাই আরবি ভাষার গুরুত্ব শুধু ধর্মীয় নয়; এটি বিশ্বব্যাপী জ্ঞান ও সূযোগের বিশাল সম্ভাবনাকে উন্মোচন করে।

-আহমাদ হাসান তালহা

শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আরবি ভাষা ইতিহাসের এক অমূল্য ভাণ্ডার

বিশ্বব্যাপী ১৮ ডিসেম্বর পালিত আরবি ভাষা দিবস আরবি ভাষার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিকতাকে স্মরণ করার একটি বিশেষ দিন। এই ভাষা শুধু ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে নাঃ এটি জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য ও ইতিহাসের এক অমূল্য ভাণ্ডার। বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে আরবি ভাষার গুরুত্ব অত্যন্ত ব্যাপক। এটি ইসলাম ধর্মের মূল গ্রন্থ কোরআনের ভাষা হওয়ায় ধর্মীয় শিক্ষা ও আত্মিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য। পাশাপাশি আরবি ভাষার জ্ঞান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কর্মসংস্থান এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাথে বাণিজ্যিক যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আরবি ভাষা দিবস আমাদের এই মহান ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার পাশাপাশি এর শিক্ষা ও গবেষণায় আরও মনোযোগী হওয়ার প্রেরণা জোগায়। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে এই দিনটি ভাষার ঐতিহ্য এবং ব্যবহারিক গুরুত্ব বুঝে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত।

-মুনতাসির বিল্লাহ

শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আরবি ভাষা শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রয়োজন

এথনোলগ এর ২০১৯ সালের ২২তম সংস্করণের তথ্য অনুসারে, পৃথিবীর মোট ৪২.২ কোটি মানুষ আরবি ভাষাকে তাদের মাতৃভাষা ও দ্বিতীয় ভাষ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। এ হিসেবে ব্যবহারের দিক থেকে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা এটি। ২০১৭ সালে ২৯ কোটি মানুষ মাতৃভাষা হিসেবে আরবি ভাষাকে ব্যবহার করছে। সে হিসেবে মাতৃভাষার দিক থেকে আরবি পৃথিবীর পঞ্চম মাতৃভাষা। দ্বিতীয় ভাতি ব্যবহারের দিক থেকে আরবি ভাষার স্থান ষষ্ঠ। আরববিশ্বের ২২টি দেশের প্রধান দাপ্তরিক ভাষা আরবি। এছাড়াও জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষার মধ্যে আরবি ভাষাও রয়েছে। এমতাবস্থায় বিশ্বব্যাপী আধুনিক আরবি ভাষা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আমাদের দেশে আধুনিক আরবি ভাষা শিক্ষা ও কথোপকথন চর্চার জন্য আধুনিক ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে। সরকারি কারিকুলামে আরবি সাহিত্য ও ব্যাকরণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও আরবি ভাষায় কথোপকথনে পারদর্শিতা অর্জনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে কার্যত তা আধুনিক আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকাংশই আরব দেশগুলোতে বিভিন্ন কাজের জন্য যান যাদের অধিকাংশই আরবি ভাষায় ভালো দক্ষতা না থাকায় সেখানে মালিকদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন। এমতাবস্থায় দেশের আরবি ভাষা শিক্ষা ব্যবস্থার সময়োপযোগী মানোন্নয়ন প্রয়োজন।

-আদিয়াত উল্লাহ

শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আরবি ভাষা ইতিহাস-ঐতিহ্যের মেলবন্ধনকারী

ভাষা মূলত একটি যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হলেও আরবি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এটি কেবল ভাষ্যই নয়; বরং ইতিহাসের মেলবন্ধনকারী একটি সেতু। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে একত্রিত করত: এই সেতু তার বিশ্বজনীনতাকে তুলে ধরেছে।

সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে ইতিহাসের সূচনালগ্ন থেকে বিজ্ঞান, দর্শন এবং সাহিত্যের সামগ্রিক ঐতিহ্যকে ধারণকারী একটি সমৃদ্ধ ভাষা আরবি। কোরআনুল কারিমের ভাষা হিসেবে পবিত্রতার পাশাপাশি স্বাতন্ত্র্যের বৈশিষ্ট্য কেবল আরবিতেই আমরা দেখতে পাই। ভাষার স্বভাবজাত প্রকৃতি পরিবর্তনশীলতাকে চ্যালেঞ্জ করে একমাত্র আরবি ভাষাই প্রমাণ করেছে কোরআনের শব্দমালা শতাব্দী পেরিয়ে আজও শাশ্বত এবং সহজবোধ্য ২২ টি দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষাসহ বিশ্বের ৪২ কোটি মানুষের মাতৃভাষা আরবী ১৯৭৩ সালে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষ্যর স্বীকৃতি পায় এবং প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর আরবি ভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।

এসকল বৈশিষ্ট্য ও স্বাতন্ত্র্য আরবীকে অন্যসকল ভাষা থেকে আলাদা করে বিশ্ববুকে অনন্য ও সার্বজনীন ভাষার আসনে মর্যাদার সাথে সমাসীন করেছে।

-মোস্তফা আফিফ

শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মূল্যায়নের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী আরবি ভাষা বিমুখ হচ্ছে

বিশ্বে বহুল কথিত ভাষাগুলোর মাঝে আরবি ভাষার স্থান চতুর্থ অবস্থানে। ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ২৮তম অধিবেশনে আরবিকে জাতিসংঘের ৬ষ্ঠ দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ দিনটিকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে এবং আরবি ভাষ্যর গুরুত্ব বোঝানের স্বার্থে বিশ্বব্যাপী ১৮ ডিসেম্বর আরবি ভাষা দিবস পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৫ টি দেশের দাপ্তরিক ভাষা, ২৫ কোটি জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষ্য এবং ২৮ কোটি মানুষের ব্যবহৃত ভাষা আরবি।

আরবি মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাষা। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা জুমআ, সুরা শু'আরা ও সূরা ইউসুফে "আরবি ভাষা" শব্দের উল্লেখের মাধ্যমে আরবি ভাষার মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন। এছাড়াও ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) বলেছেন, "তোমরা আরবি ভাষা শেখো, তা তোমাদের দ্বীনের অংশ।" বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র এবং এ দেশের জনগণ আরবি ভাষা এবং আরবি ভাষীদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ এবং মূল্যায়ন না থাকায় বহু শিক্ষার্থী আরবি ভাষা শিক্ষা থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। সরকারি হস্তক্ষেপে উৎসাহ প্রদান, আরবি ভাষা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, পর্যাপ্ত কর্মক্ষেত্র গড়ার পাশাপাশি, প্রাথমিক-মাধ্যামিক-উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আরবিকে বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে জনগণকে দক্ষ, যোগ্য, পারদর্শী জনশক্তিতে রূপান্তর সম্ভব বলে মনে করি।

-মাহমুদা জ্যোতি

শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আরবি ভাষা মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলছে

পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ভাষাগুলোর অন্যতম আরবি ভাষা। পবিত্র কোরআন নাযিলের ভাষাও আরবি। এছাড়া বর্তমানে পৃথিবীর ২২টি দেশ ও জাতিসংঘের অন্যতম অফিসিয়াল ভাষাও এটি। আরবি ভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে ছড়িয়ে দিতে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় 'বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস'। ২০১২ সালে জাতিসংঘ এ দিবস ঘোষণা করে এবং এর মাধ্যমে সকল আরবি ভাষীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আরবি ভাষা শুধুমাত্র এক হাজারেরও বেশি বছর পুরনো একটি প্রাচীন ভাষা নয়, এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক রত্ন। বিশ্বায়নের যুগে আরবি ভাষার গুরুত্ব আরও বেড়েছে।

ফলস্বরূপ আরবি ভাষার জ্ঞান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সম্পর্ক এবং কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরবি ভাষার প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষা শিখতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে, যা ভাষার প্রতি আন্তর্জাতিক আগ্রহের সূচক। আরবি ভাষা দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, কোরআনের এ ভাষা পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলছে।

-তাযকিয়া খানম

শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইসলামী সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু হলো আরবি ভাষা

আরবি ভাষা ইসলাম ধর্ম, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ভাষায় মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন নাযিল করেছেন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় কাজগুলোতে অংশগ্রহণ করতে এ ভাষা ব্যবহৃত হয়। সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলামী সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু হলো আরবি ভাষা। মধ্যযুগে বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার সময়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানীগুণীরা এ ভাষায় জ্ঞান চর্চা করেছেন, গবেষণা করেছেন ও তাদের আবিষ্কার পৃথিবীর মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন জাতিসংঘের দাপ্তরিক ছয়টি ভাষার মধ্যে আরবি ভাষা অন্যতম। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরবি ভাষার রয়েছে অতুলনীয় তাৎপর্য। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ একটি রেমিটেন্স নির্ভর দেশ। প্রতিবছর প্রায় সিংহভাগ লোক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছে।

শুধু বিশুদ্ধ আরবি ভাষা না জানার ফলশ্রুতিতে পাচ্ছে না তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা, হাতছাড়া করতে হচ্ছে ভালো পারিশ্রমিকের চাকুরী। এই সকল দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করে, তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বর্তমান সরকার যদি আমাদের দেশের যুব সমাজকে এ ভাষা চর্চার ব্যবস্থা করে, এবং উদ্বুদ্ধ করে তাহলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জুনের মাধ্যমে যেমন বেকারত্ব হ্রাস পাবে পাশাপাশি দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাবে। ২০২৫ সালে ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসে এটাই হোক আমাদের মূল প্রতিপাদ্য।

-মো: মইনুল মুরসালিন

শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

মাদরাসা শিক্ষা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর