বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে দেশে প্রস্তাবিত ভৈরব জেলা ছাড়াই ৬৪টি জেলা রয়েছে। যেখানে উপকূলীয় জেলার সংখ্যা ১৯টি। তাছাড়া সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলার ৮টি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সাথে। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে একমাত্র সীমান্তবর্তী জেলা রাঙামাটি। এটি আয়তনে বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা। আর আয়তনে ক্ষুদ্রতম জেলা মেহেরপুর। নিচে সংক্ষেপে বাংলাদেশের জেলাগুলোর বিবরণ তুলে ধরা হলো
ঢাকা
ঢাকা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়-১৭৭২ সালে। ঢাকার প্রাচীন নাম-জাহাঙ্গীরনগর।
ঢাকা জেলার আয়তন-১৪৬০ বর্গকিলোমিটার।
ঢাকা জেলার মেট্রোপলিটন থানা- ৪১ টি (সর্বশেষ বংশাল থানা)
সবচেয়ে বেশী (২০টি) সংসদীয় আসন ঢাকা জেলায়।
ঢাকা জেলার প্রধান নদ-নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বংশী, ধলেশ্বরী ইত্যাদি।
ঢাকার ঐতিহাসিক স্থানগুলো-লাল বাগ কেল্লা, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, আহসান মঞ্জিল, পরিবিবির মাজার, ঢাকেশ্বরী মন্দির, হোসনি দালান, চামেলী হাউস, বাহাদুর শাহ পার্ক, (ভিক্টোরিয়া পার্ক), কার্জন হল (ঢা.বি), জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান (রেসকোর্স ময়দান), বঙ্গভবন গণভবন, বলধাগার্ডেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
গাজীপুর
প্রাচীন নাম: জয়দেবপুর
গাজীপুর জেলার আয়তন-১৭৪১ বর্গ কি.মি.
গাজীপুর জেলার, উপজেলা ৫টি। গাজীপুর সদর, শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ।
গাজীপুর জেলায় অবস্থিত-আনসার ও ভিডিপি একাডেমী, স্কাউট একাডেমী, জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্বর্য জাগ্রত চৌরঙ্গী, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, দেশের একমাত্র মহিলা কারগার।
নরসিংদী
নরসিংদীর উল্লেখযোগ্য নদ-নদী মেঘনা, শীতলক্ষ্যা।
নরসিংদীর উপজেলা-৬টি।
নরসিংদী ঐতিহাসিক স্থান-উয়ারি বটেশ্বর।
নরসিংদী জেলার কৃতিসন্তান- ড. আলাউদ্দিন আল-আজাদ, শহীদ আসাদ, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান।
‘মতিনগর’ গ্রামটি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায়।
মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের প্রাচীন নাম-ইন্দ্রাকপুর/বিক্রমপুর।
মুন্সিগঞ্জ জেলার উল্লেখযোগ্য নদ-নদী ধলেশ্বরী, পদ্মা, মেঘনা।
ঐতিহাসিক স্থান-ইন্দ্রাকপুর কেল্লা, অতীশদীপঙ্করের জন্মস্থান পণ্ডিত ভিটা, সোনাকান্দা দুর্গ।
মুন্সিগঞ্জের কৃতিসন্তান-স্যার জগদীশচন্দ্র বসু, অতীশ দীপঙ্কর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, মানিক বন্দোপাধ্যায়, স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন।
বাংলাদেশের একমাত্র ঔষধ শিল্প পার্ক অবস্থিত এই জেলার গজারিয়ায়।
নারায়ণগঞ্জ
নারায়নগঞ্জকে বলা হয় প্রাচ্যের ডান্ডি।
বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প সমৃদ্ধ জেলা।
উল্লেখযোগ্য নদ-নদী, মেঘনা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যা।
এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল এখানেই অবস্থিত ছিল।
নারায়নগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক স্থান-সোনারগাঁও, সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের মাজার, পাঁচ বিবির মাজার, পানামনগর, পাগলা সেতু, বাংলার তাজমহল।
জ্যোতি বসুর জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জ।
উপমহাদেশের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় এখানেই প্রতিষ্ঠা করেন শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা।
সোনারাগাও ছিল প্রাচীন বাংলার উত্থান পতনের জীবন্ত সাক্ষী।
মানিকগঞ্জ
সুফি সাধক মানিক শাহের নামানুসারে মানিগঞ্জের নামকরণ।
উল্লেখযোগ্য নদ-নদী- পদ্মা, যমুনা ও ধলেশ্বরী।
উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থানসমূহ-ইমামপাড়া জামে মসজিদ, একচালা দূর্গ, মত্তের মঠ, শ্রীশ্রী আনস্ত্রী কালিবাড়ী, বাইমাইলের নীলকুঠি, বাযরা নীলকুঠি, দশচিড়া বৌদ্ধবিহার, নবরত্ব মঠ, মাচাইন মসজিদ তেওতা ও ধানকোড়া জমিদার বাড়ী।
মানিকগঞ্জের কৃতিসন্তান- ভাষা সৈনিক শহীদ রফিক, হীরালাল সেন, ড. দীনেশচন্দ্র সেন ও নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্যসেন।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল জেলার উপজেলা- ১২টি।
টাঙ্গাইল জেলার নদ-নদী যমুনা, ধলেশ্বরী ও বংশী
টাঙ্গাইল চমচমের জন্য বিখ্যাত।
টাঙ্গাইলের ঐতিহাসিক স্থান- আতিয়া জামে মসজিদ, মধুপুরের গড়, ভারতেশ্বরী হোমস, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, কুমুদিনী হাসপাতাল।
কৃতিসন্তান-মওলানা ভাসানী, ড. আশ্রাফ সিদ্দিকী, কবি রফিক আজাদ।
ক্রেডিট কোর্সটিকা
বিকেপি/এনএ

