শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের বাংলা বই থেকে দুই তীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকলো।
একটি নদী, তার দুই তীরে দু-জন মানুষ বাস করে। একজন ভালোবাসে তার নদীর বালুচর, শরৎকালে চকাচকিরা যেখানে ঘর বাঁধে। এর তীরে তীরে ফুটে থাকে কাশফুল। শীতের সময় হাঁসেরা এসে ভিড় করে, কচ্ছপ রোদ পোহায়। সন্ধ্যায় জেলের ডিঙি এসে ভেড়ে। অন্যজন ভালোবাসে বন, যার আছে ঘন ছায়া। সেখান থেকে একটা রাস্তা সেও এসে মিশেছে নদীতে। নদীর ঘাটে বধূরা আসে, ছেলেরা জলে ভেলা ভাসায়। একটি নদী কিন্তু দুই তীরের মানুষকে কী সুন্দর মিলিয়ে দিয়েছে।
২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
নির্জন, চকাচকি, তট, ডিঙি, আচ্ছাদন, বেণুবন।
নির্জন- জনশূন্য স্থান।
চকাচকি- হাঁসজাতীয় পাখি।
তট- নদীর তীর।
ডিঙি- এক ধরনের নৌকা।
আচ্ছাদন- ঢাকনি, ছাউনি।
বেণুবন- বাঁশ বাগান।
৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
চকাচকিরা, আচ্ছাদন, তটে, বেণুবন, নির্জন, ডিঙি।
ক. এলাকাটি —— যে গা ছমছম করে।
খ. নদীর ধারে দল বেঁধে বেড়ায়——।
গ. গ্রামের ছোট নদীগুলো দিয়ে মানুষ——করে পারাপার হয়।
ঘ. নদীর দু——-প্রতিবছর মেলা বসে।
ঙ. নদীর তীরে বটগাছটি বর্ষাকালে মানুষ——হিসাবে ব্যবহার করে।
চ. নদীর ধারে গজিয়ে ওঠা বাতাসে দুলতে থাকে——।
উত্তর : ক. নির্জন; খ. চকাচকিরা; গ. ডিঙি; ঘ. তটে; ঙ. আচ্ছাদন; চ. বেণুবন।
৪. নিচের কথাগুলো বুঝে নিই।
তুমি ভালোবাস তোমার
ওই ও পারের বন,
যেথায় গাঁথা ঘনচ্ছায়া
পাতার আচ্ছাদন।
উত্তর : কবির বন্ধুটির বাস নদীর ওপারে। নদী পাড়ের গাছের পাতার ঘন ছায়ায় ঘেরা বনটি তাঁর ভালো লাগে।
৫. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) নদীর বালুচরে কী ঘটে?
উত্তর : নদীর বালুচরে তীরের চারপাশে কাশফুল ফোটে। শরৎকালে চকাচকিরা বাসা বাঁধে। শীতের দিনে বিদেশি হাঁসেরা আসে। কচ্ছপেরা বালুচরে রোদ পোহায়। সন্ধ্যেবেলায় জেলেদের দু-একটি ডিঙি নৌকা ভিড়ে।
খ) দুই তীরে দু-জন মানুষের ভালো লাগার জিনিসগুলো কী?
উত্তর : কবির ভালো লাগে-
১। নদীর বালুচর
২। চকাচকির ঘর
৩। তীরে ফুটে থাকা কাশ
৪। বিদেশি হাঁসদের বিচরণ
৫। কচ্ছপের রোদ পোহানোর দৃশ্য
৬। সন্ধ্যেবেলা জেলেদের ডিঙি ভেড়ানোর দৃশ্য
কবির বন্ধুর ভালো লাগে-
১। গাছপালায় ঘেরা ঘন বন
২। বন থেকে নদীতে চলে যাওয়া বাঁকা গলি
৩। গলির দুধারের বাঁশবন
৪। গ্রামের বধূদের ঘাটে আসা-যাওয়ার দৃশ্য
৫। নদীতে ছেলেদের আনন্দ করার দৃশ্য।
গ) ঘাটে বধূর মেলা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : নদীর ঘাটে গ্রামের বধূরা সারাদিনই নানা কাজে আসে। কেউ পানি নেয়, কেউ কাপড় ধোয়। তারা পরস্পর কথা বলে, আনন্দ করে। দেখে মনে হয় ঘাটে যেন বধূদের মেলা বসেছে।
ঘ) দুই তীরে কবিতায় ওই পারের বনটি কেমন?
উত্তর : দুই তীরে কবিতায় নদীর ওই পারের বনটি গাছের পাতার ঘন ছায়ায় ঘেরা। বন থেকে ছোট একটি রাস্তা এসে মিশেছে নদীতে। সে রাস্তার দুই ধারে বাঁশবাগান পরস্পর জড়াজড়ি করে অবস্থান করছে।
ঙ) সকাল-সন্ধ্যায় ছেলের দল কী করে?
উত্তর : সকাল-সন্ধ্যায় ছেলের দল নদীতে ভেলা ভাসিয়ে ভেসে বেড়ায়।
৬. কবিতাটি আবৃত্তি করি।
উত্তর : শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে নিজে নিজে চেষ্টা কর।
৭. কর্ম-অনুশীলন।
শূন্যস্থানে কথা বসিয়ে একটি কবিতা বা ছড়া লেখার চেষ্টা করি।
গুরু গুরু ডাকে দেয়া আষাঢ়ের মাস,
বৃষ্টিতে কেঁপে ওঠে বাগানের বাঁশ।
শীতকালে নদীবুকে জাগে নব চর,
ছেলেরা করে যে খেলা বাঁধে ছোট ঘর।
দখিনা বাতাসে মাতে বসন্তে মন,
ফুলে আর পাতাতে সেজে ওঠে বন।

