প্রাথমিক বিদ্যালয় মেধা যাচাই : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
বেলাল হোসাইন
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১২
বেলাল হোসাইন
প্রতিষ্ঠাতা, কোর্সটিকা
৫. বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর:
ক) শিক্ষা লাভ করা ২. গ) গণতন্ত্র ৩. ঘ) নতুন শস্য ৪. ঘ) আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ৫. ঘ) UNICEF।
৬. মিলকরণ:
ক. গণতন্ত্র অর্থ জনগণের শাসন।
খ. গণতান্ত্রিক মনোভাব ও মতামতকে সম্মান করা।
গ. গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
ঘ. গণতান্ত্রিক আচরণ শ্রেণি নেতা নির্বাচনে ভোট দেওয়া।
ঙ. সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে।
৭. সংক্ষেপে উত্তর:
ক. বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা। তিনি ১৭৫৬ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি বাংলার নবাব হন। পলাশির যুদ্ধে তিনি পরাজিত ও নিহত হলে বাংলার স্বাধীনতা কার্যত অবস্তমিত হয়।
খ. সরকারি সহায়তায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ব্যবহার করে শ্রমিকদের দক্ষ শ্রমশক্তিতে পরিণত করা যায়। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে পক্ষ শ্রমশক্তিতে পরিণত করা যায়।
গ. ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ ৮ই মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালনের ঘোষণা দেয়। নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়।
ঘ. মাতৃতান্ত্রিক বলতে বোঝায় মাতাই পরিবারের প্রধান। মাতার সূত্র ধরেই এদের দল, গোত্র ও বংশ গড়ে ওঠে। বাংলাদেশের গারো ও খাসি নৃগোষ্ঠীর সমাজ ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক।
ঙ. বাংলাদেশ একটি উর্বর ব-দ্বীপ অঞ্চল। এছাড়াও নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি সেচের সুবিধা রয়েছে। তাই চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশের মাটি উপযোগী।
চ. নিয়মিত কর দেওয়া নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। কর দ্বারা প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে রাষ্ট্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে এবং নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়। তাই নাগরিকদের নিয়মিত কর দেওয়া উচিত।
ছ. মুক্তিযুদ্ধের কৌশল হিসেবে গেরিলা যুদ্ধকে কাজে লাগানোর জন গেরিলা বাহিনী গঠন করা হয়। গেরিলা বাহিনী অ্যাকশন গ্রুপ ও ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ- এই দুই গ্রুপে বিভক্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধে ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের জন্য নির্দেশনা ছিল শত্রæপক্ষের গতিবিধি সম্পর্কে খবরাখবর সংগ্রহ করা।
জ. ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির ইতিহাসের একটি গৌরবময় ঘটনা। কারণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা লাভ করেছি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। ফলে স্বাধীন জাতি হিসেবে আমরা আত্মপ্রকাশ করি।
৮. বিস্তৃত উত্তর:
ক. বাংলাদেশে ৪৫টিরও বেশি নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে। অধিকাংশ। ধারণা ভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ, সিলেট ও রাজশাহী অঞ্চলে বসবাস করে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী হলো চাকমা।
এছাড়া রয়েছে গারো, খাসি, মেধা, ত্রিপুরা, ওরাঁও, মারমা, সাঁওতাল, মণিপুরি, খেয়াং, চাক, বম, লুসাই, পাংখোয়া প্রভৃতি। বলা হয় গারো জনগোষ্ঠী প্রায় সাড়ে ৪০০০ বছর পূর্বে তিব্বত থেকে এসে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করে। খাসি জনগোষ্ঠী সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। মিয়ানমার সীমান্তের কাছে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাস করেন মো জনগোষ্ঠী। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠীর নাম হলো ত্রিপুরা। এরা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বসবাস করেন। নৃ-গোষ্ঠীর লোক বেশি বসবাস করেন বাংলাদেশের রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে। সমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রায় ১৪ লাখ লোক বসবাস করছেন।
খ. আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় ৮ই মার্চ। নারীর অধিকার নিশ্চিত করাসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়।
পারিবারিক উন্নয়নে নারীর চারটি অবদান-
১. নিজ সন্তানদের সুশিক্ষিত করতে পারবে।
২. পরিবারের সদস্যদের নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে পারবে।
৩. কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করতে পারবে।
৪. দৈনন্দিন জীবনের সকল বিষয় সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের সচেতন করতে পারবে।
গ. বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদধা আয়ের লক্ষ্যে দক্ষ জনশক্তি উন্নত দেশে বৈধভাবে পাঠানোর নাম জনশক্তি রপ্তানি।
দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমেই মূলধন ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার করা সম্ভব।
নিজেদের পরিবারের আর্থিক চাহিদা পূরণ করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে জনশক্তি রপ্তানি প্রয়োজন। দক্ষ জনশক্তি যেকোনো দেশের জনসম্পদ হিসেবে কাজ করে। তবে এ দক্ষ জনশক্তিতে যদি দেশের চাহিদা পূরণ হয় তাহলে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে আমরা প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি, যা আমাদের পারিবারিক চাহিদা পূরণ করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে আর এভাবেই শ্রমশক্তি রপ্তানির ফলে আমরা উপকৃত হতে পারি।
ঘ. মানবাধিকার হচ্ছে সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, নারী-পুরুষ আর্থিক অবস্থা ভেদে বিশ্বের সব দেশের সকল মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য মানবাধিকার প্রয়োজন।
মানবাধিকার রক্ষার পাঁচটি উপায় হলো-
১. সকলকে মানবাধিকার রক্ষায় সচেতন করা।
২. মানবাধিকার বিরোধী কাজ দেখলে প্রতিরোধ করা।
৩. নারী-পুরুষের মজুরির বৈষম্য দূর করতে হবে।
৪. প্রয়োজনে মানবাধিকার রক্ষায় আন্দোলন করা।
৫. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
বিকেপি/এমবি

