মাত্র ৪২ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন বলিউডের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালা। শরীর ও সৌন্দর্যে যিনি এক সময় লারা দত্ত বা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো তারকাদেরও টেক্কা দিতেন, সেই শেফালির মৃত্যু নিয়ে বলিউডে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। বিশেষ করে গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে তার গ্রহণ করা ‘অ্যান্টি-এজিং’ বা বার্ধক্য প্রতিরোধী চিকিৎসা নিয়ে ফের উঠেছে নতুন করে আলোচনা।

২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মিউজিক ভিডিও ‘কাঁটা লাগা’ দিয়ে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পেয়েছিলেন শেফালি। সেই ‘ডিস্কো-কন্যা’ পরে বলিউডে নিয়মিত হতে না পারলেও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ছিলেন আলোচনায়। তবে এক সময় মৃগী রোগ ধরা পড়ায় তার ক্যারিয়ার ধাক্কা খায়। এরপরও সোশাল মিডিয়ায় তিনি ছিলেন যথেষ্ট সক্রিয় এবং শরীরচর্চা ও ঝলমলে চেহারার জন্য নিয়মিত প্রশংসাও পেতেন।

বিভিন্ন সূত্রের খবর, শেফালি দীর্ঘদিন ধরেই একটি বিশেষ ধরনের ত্বক উজ্জ্বলকরণ ও বয়স প্রতিরোধী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এই চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় গ্লুটাথিয়ন ও ভিটামিন সি-এর মতো উপাদান, যা মূলত শরীর ডিটক্সিফাই করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং বয়সের ছাপ লুকাতে সাহায্য করে। যদিও চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, গ্লুটাথিয়নের মতো উপাদান সাধারণত হৃদযন্ত্রের উপর সরাসরি ক্ষতিকর নয়। তবে এটি সম্পূর্ণ একটি কসমেটিক ট্রিটমেন্ট, যার অতিরিক্ত ব্যবহার ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলেও কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন।

শেফালির হঠাৎ মৃত্যুর পর থেকেই উঠছে প্রশ্ন—তার গ্রহণ করা এই চিকিৎসা পদ্ধতিই কি মৃত্যুর পেছনে কোনোভাবে দায়ী? কারণ মৃত্যুর একদিন আগেও তিনি স্বামী ও পোষ্যকে নিয়ে অ্যাপার্টমেন্টের নিচে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হাসিখুশি জীবনের ছাপ ছিল তার শেষ সোশাল মিডিয়া পোস্টেও। ফলে এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না বন্ধু, প্রতিবেশী ও অনুরাগীরা।

এদিকে, অভিনেত্রীর মৃত্যু তদন্তে স্থানীয় পুলিশ ও চিকিৎসকরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মত দেয়নি। তবে এই ঘটনা নতুন করে বলিউড তারকাদের অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসা গ্রহণ নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

• এটিআর