
বিয়ের পর থেকেই মার্কিন মুলুকে স্থায়ী হয়েছেন বলিউডের প্রাক্তন ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বলিউড ছেড়ে এখন পুরোপুরি হলিউডে ব্যস্ত এই অভিনেত্রী। তবে বিদেশে থাকলেও ভারতীয় সংস্কৃতি ও আচার-রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ভূমিকার জন্য অনেকবার প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার ঠিক বিপরীত চিত্র—আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে বাজি ফাটিয়ে উল্টো কটাক্ষের শিকার হলেন এই বলিউড-তারকা।
৪ জুলাই ছিল আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে লস অ্যাঞ্জেলসে জমকালো আয়োজনে অংশ নেন প্রিয়াঙ্কা। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করা একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, বহু মানুষের ভিড়ে নিকের হাত ধরে তিনি মেতে উঠেছেন উদযাপনে, আর আকাশজুড়ে ছড়িয়েছে আতশবাজির ধোঁয়া। ভিডিওর ক্যাপশনে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘হ্যাপি ফোর্থ অব জুলাই।’
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ভারতীয় নেটিজেনদের একাংশ কড়া সমালোচনায় মুখর হন। কেউ লিখেছেন, ‘দিওয়ালিতে বাজি না ফোটানোর জন্য লেকচার দেওয়া মানুষটাই এবার আমেরিকায় গিয়ে বাজি ফাটাচ্ছেন?’ অনেকে তাকে সরাসরি ‘হিপোক্রিট’ বা ‘দ্বিমুখী’ বলেও কটাক্ষ করেন।
এর আগে, ২০১৮ সালে প্রিয়াঙ্কা এক ভিডিও বার্তায় ভারতীয়দের দিওয়ালিতে বাজি ফোটাতে নিষেধ করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমার হাঁপানি আছে, দয়া করে বাজি ফাটিয়ে আমার শ্বাসরোধ করবেন না।’ এমনকি তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন, দীপাবলিকে যেন ‘আলোর উৎসব’ হিসেবেই পালন করা হয়।
পরের বছর ২০১৯ সালে দিল্লিতে শুটিং করতে গিয়ে বায়ুদূষণ নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। বলেছিলেন, ‘ভাগ্যিস আমাদের কাছে এয়ার পিউরিফায়ার আর মাস্ক ছিল। এখানে শুটিং করাটাই কঠিন, সাধারণ মানুষ কীভাবে থাকেন কে জানে!’
এবার সেই প্রিয়াঙ্কাই নিজে বাজি ফাটানোর উৎসবে অংশ নেওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, ‘বায়ুদূষণ নিয়ে আপনার জ্ঞান এবার কোথায় গেল?’
যদিও এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা বা প্রতিক্রিয়া দেননি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তবে সামাজিক মাধ্যমে চর্চা চলছে, নিজেই নিজের কথার বিরোধিতা করে কতটা বিশ্বাসযোগ্য থাকছেন ‘দেশি গার্ল’?
- এটিআর