Logo

বিনোদন

২০ কোটি মানুষই আওয়ামী লীগের দোসর : জায়েদ খান

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ২২:০৭

২০ কোটি মানুষই আওয়ামী লীগের দোসর : জায়েদ খান

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক জায়েদ খান বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন। আমেরিকার অভিজ্ঞতা ও সাম্প্রতিক নানা কাজ নিয়ে তিনি কথা বললেন বাংলাদেশের খবরের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুদীপ্ত সাইদ খান।

বাংলাদেশের খবর : আমেরিকায় আপনার দিনকাল কেমন কাটছে? 

জায়েদ খান :  আলমদু লিল্লাহ খুবই ভালে আছি। যদি বলি যে খারাপ আছি, তাহলে খুবই ভুল বলা হবে। আল্লাহ তায়ালা অনেক ভালো রেখেছেন এবং সুস্থ আছি, এটাই আল্লাহর বড় নিয়ামত। 

বাংলাদেশের খবর : সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটা ছবিতে জেমসের সঙ্গে আপনাকে দেখা গেছে। পোস্টে বলা হয়েছে, জেমস ভাই আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন গেঞ্জি-প্যান্ট- এগুলো কোথা থেকে কিনেছেন। তো জেমস ভাইয়ের সঙ্গে আপনার সময় কাটানোর মুহূর্ত নিয়ে একটু জানতে চাই-

জায়েদ খান : জেমস ভাই বাংলাদেশের একজন লিজেন্ড মানুষ। আমি বরাবরই সিনিয়রদের সাথে মিশতে পছন্দ করি। যখন শিল্পী সমিতি করেছি তখন ফারুক ভাই, আলমগীর ভাই, এদের সাথে বসেছি। সোহেল রানা, রোজিনা আপাসহ যারা লিজেন্ড ছিলেন তাদের সঙ্গে বসেছি। আমি মনে করি, তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্যের সময় কেউ ছিল না, আমি উপস্থিত হয়েছি।

তো জেমস ভাইয়ের মতো একজন রকস্টারের সাথে শো করেছি। অনেকগুলো শো ছিল লন্ডনে, তারপরে ফিলাডেলফিয়া, লাস্ট মিশিগানে। আড্ডাটা আমি খুব এনজয় করি। উনি খুব বন্ধু প্রিয়। যাকে পছন্দ করেন তার সাথে তিনি আড্ডা মারেন। আমরা শোয়ের আগে-পরে অনেক আড্ডা মেরেছি। তখন উনি দুষ্টামি করে আমার জামা-প্যান্ট দেখে হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করেছেন। এগুলো জিজ্ঞেস করতেই পারে, আমি তার ছোট ভাইয়ের মতো। তো তিনি সবসময় কাজকে সমর্থন দিয়েছে এবং তার কাছ থেকে আমি শিখেছি, কিভাবে ব্যায়াম করতে হবে, সুন্দরভাবে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। শরীর ফিট রাখতে হবে। সব সুন্দর সুন্দর উপদেশ দিয়েছেন সব সময়। আমি তার দিকে তাকিয়ে থেকে ভাবলাম, তিনি আসলেই লিজেন্ড। ওনারা আসলে মানুষকে অনেক ভালো কিছু শিক্ষা দেন। এজন্যই মানুষ বলে যে সঙ্গদোষে লোহা ভাসে। তার সাথে আড্ডার প্রতি মুহূর্তটা আমি মিস করি। অনেক কিছু শিখেছি তার কাছ থেকে। 

বাংলাদেশের খবর : জেমস ভাইয়ের গান তো সবারই প্রিয়। তো ওনার কোন গানগুলো আপনার বেশি ভালো লাগে।

জায়েদ খান : তার মাকে নিয়ে গানটা, ‘কোথায় আছে, কেমন আছে মা’। আমার যেহেতু মা নেই তাই মায়ের গান আমাকে টানে। যেটা আগে বুঝতাম না।  ‘পাগলা হওয়া’র গানটা টানে। ওনার তো সব গানই অন্যরকম। তারপরে মান্না ভাইয়ের মনের সাথে যুদ্ধ ছবির গানটা ‘আসবার কালে আসলাম একা’- যে গানটা আমি মাঝে মাঝেই স্টেজে পারফরর্ম করি। এই গানগুলো আমাকে প্রচণ্ড পরিমাণে টানে। 

বাংলাদেশের খবর : জেমস ভাইয়ের সঙ্গে যেহেতু মিশেছেন, তো জানতে চাই, ব্যক্তি জেমস আসলে কেমন?

জায়েদ খান : জেমস ভাই অনেক অনেক ভালো মানুষ। উদার মনের একজন মানুষ। এজন্য এত বছর ক্যারিয়ার টানতে পারছেন। উনি খুবই মুডি। ওনার যাকে পছন্দ হবে তার সাথে উনি আড্ডা মারবেন। কোনো অহংকার করেন না। আড্ডার সময় উনি একেবারে বাচ্চা হয়ে যান- উনি হাসেন, মজা করেন। উনি ভালো পরামর্শ দেন। কথায় কথায় খুব  উপদেশমুলক পরামর্শ দেন। ওনার সাথে সঙ্গ দিলে যেকোনো মানুষ অনেক ভালো কিছু শিখবে। 

বাংলাদেশের খবর : দেশে থাকতে আপনি সিনেমা করতেন। বিজ্ঞাপনে অংশ নিতেন। নানা ধরনের কালচারাল মুভমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তো আমেরিকায় তো সিনেমার মধ্যে নেই আপনি। সিনেমাকে মিস করেন কিনা?

জায়েদ খান : সিনেমার কথা বললেন, সিনেমা এখন হইতেছেই বা কয়টা বাংলাদেশে? বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে এখন কাজবাজ করাও অনেক ঝামেলার। এখন সব শিল্পীরাই তো দেখি আমেরিকামুখি। আর আমি তো এখানেও বসে নাই- আমি ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ নামে অনুষ্ঠান শুরু করেছি ‘ঠিকানায়’। প্রতি মাসে ২টা করে শো করতেছি। আমি একমাত্র নায়ক- পুরো বাংলাদেশের ইতিহাসে- যে পুরা আমেরিকা থেকে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন স্টেটে শো করে বেড়াচ্ছি। এটা কখনও কোনও নায়ক আগে করতে পারেনি। মানে বিভিন্ন স্টেটে আগে শুধু কণ্ঠশিল্পীরাই করতো- সেটাকে আমি প্রতিষ্ঠিত করে আমি বিভিন্ন স্টেটে যাচ্ছি। প্রবাসী বাঙালিদের কাছাকাছি যেতে পারছি। একেটা স্টেটে মানুষের মনমানসিকতা দেখছি। এগুলো আমাকে আবেগ আপ্লুত করে। আমি কাজ করছি- নিউ ইয়র্কের শোগুলো অংশ নিতে পারছি। আমি যেহেতু বাংলাদেশে ছিলাম- তো সিনেমাটাকে অবশ্যই মিস করি। সময় সুযোগ বুঝে আবার সিনেমায় ফিরবো ইনশাল্লাহ, অসুবিধা নেই।

বাংলাদেশের খবর : উপস্থাপক হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করলেন। এই অভিজ্ঞতা কেমন লাগছে?

জায়েদ খান : অনেক কঠিন কাজ এটা। ইজি না। আমি তো উপস্থাপকও না, বাট এখানে যারা আছেন- বিশেষ করে ঠিকানার যিনি কর্ণধার- রোহিন ভাই, ওনার ওয়াইফ আমাদের আনুভাবী, ওনারা আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। এরা আমাকে অনেক সাহস দিয়েছেন, ক্যাজুয়ালি কথাবার্তা বলার চেষ্টা করেছি এবং দেখলাম মানুষ গ্রহণ করেছে। নির্দিষ্ট করে উপস্থাপনা আমার পক্ষে সম্ভব না- কিন্তু এটা আমি মজার ছলে করতেছি। তো একটা শিল্পীর সব ক্ষেত্রেই ইনভলবমেন্ট থাকা দরকার।  পরীক্ষামূলক একটা কাজ করছি এবং সমস্ত বাংলাদেশ থেকে আসা তারকাদের সাথে দেখা হচ্ছে। আড্ডা হচ্ছে এটাই আমি সবচেয়ে এনজয় করছি বেশি।

বাংলাদেশের খবর : ওখানে তো মনে হয় এখন মিনি বাংলাদেশ হয়ে গেছে, তারকাদের উপস্থিতিতে...

জায়েদ খান: হ্যা, সব তারকারা আসছে। সবার সাথে দেখা হয়, ভালোই লাগছে।

বাংলাদেশের খবর : আমি যতটুকু জানি, বাংলাদেশ থেকে যে শিল্পীরা আমেরিকায় তারা সেখানে অন্য কোনও পেশা বেছে নেয়। তো আপনি অন্য কোনও পেশা বেছে নিয়েছেন কিনা

জায়েদ খান: না। আমি আপনার মাধ্যমে স্পষ্ট করতে চাই যে,  আমি অন্য কোনও প্রফেশনে নাই। আমি শুধু এখানে ‘ঠিকানায়’ কালচারাল সাইড- এ উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছি।  ওনাদের একটা কোম্পানি আছে। ‘রিভার ফোন’- ওইটার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আমি বিভিন্ন জায়গায় ওনাদের কর্মকাণ্ডতে ব্র্যান্ডের কাজ করি এবং আমি বিভিন্ন স্টেটে যে শোগুলো হয় সেই শোগুলোতে পারফর্ম করি। এই হচ্ছে আমার প্রফেশন। এটা দিয়ে আমার এখানে কাজ চলছে আসলে। আমার অন্য কোন কিছু করতে হয় না।

বাংলাদেশের খবর : আপনার হাতের কাছেই তো হলিউড। তো হলেউডে কাজ করার ইচ্ছা আছে কিনা? বা ওই যোগাযোগটা করছেন কিনা?

জায়েদ খান :  পৃথিবীর প্রতিটি অভিনেতা-অভিনেত্রীরই হলিউডে কাজ করার স্বপ্ন বা ইচ্ছা থাকে। আমি তার ব্যতিক্রম নই। তো, আসলে সবকিছুর ঊর্ধ্ব হচ্ছে আপনার লাক। আপনাকে আল্লাহ যখন লাক দিয়ে দেবে আল্লাহ বলেছে, রিজিক আসমান থেকে নির্ধারিত হয়। তো আল্লাহতালা আসমান থেকে নির্ধারিত করেন। সেই কারণে আমি ওটার আশায় আছি। যোগাযোগের ওইরকম কেউ নাই তবে বিভিন্ন লোকজন যারা আমাদের এখানে আছে, অনেক বাঙালিরা আছে কাজ করেন, হলিউডের বিভিন্ন সেক্টর এ।  তাদের মাধ্যমে আমি প্রোফাইল পাঠিয়েছি। আর চেষ্টা তো অবশ্যই আছে। যদি কোনোভাবে কখনো আল্লাহতায়ালা বলে এবং কোথাও সুযোগ হয়ে যায়। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের একটা বড় সম্মান বয়ে আনবো ইনশাল্লাহ। চেষ্টা করব যদি কখনও সুযোগ হয়, হলিউডে কাজ করার।

বাংলাদেশের খবর : দোয়া রইলো আপনার জন্য যাতে সেই সুযোগটা হয়ে যায় এবং আমরা গর্ব করতে পারি।

জায়েদ : ইনশাল্লাহ

বাংলাদেশের খবর : এই যে ধরুন জেমস ভাইসহ সবাই আপনার ড্রেস নিয়ে একটু মজা করল- এরকম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আমরা দেখি যে অনেক নেটিজেন আপনার ড্রেসআপ, সু-চশমা, জুতা-প্যান্ট নিয়ে ট্রল করে। এই ট্রল নিয়ে আপনার কোনো মন খারাপ হয় কিনা বা এটাকে কীভাবে দেখেন?

জায়েদ খান : আমি খুব পজেটিভভাবে দেখি। ওরা তো সময় নষ্ট করে এমবি খরচ করে আমাকে নিয়ে এতো ভাবে। আমার কোন ছবিতে কি দেখা যাচ্ছে। ২০২৫-এ এতো সময় নিয়ে যে আমাকে দেখে, আমাকে বকে বা ট্রল করে- আবার আমাকেই ফলো দিয়ে রাখে। এগুলো আমাকে একটা আনন্দ দেয়। আমি পজেটিভলি দেখি। কারণ নেগেটিভ পাবলিসিটি হলো বেস্ট পাবলিসিটি । আমার সবই যে পজেটিভ থাকবে তা না, আমি এজন্য আমার কমেন্ট সেকশন আমি অফ না করে পুরা অন করে দিয়েছি। যে যা লিখতে পারে লেখুক। আমি এটা ভালোভাবে দেখি- খারাপভাবে দেখি না। আমাকে অনেকে অনেক কিছু বলবে যার দৃষ্টি যেমন সে দেখবে তেমন, যার পারিবারিক শিক্ষা যেমন, সে লিখবে তেমন- তবে এটা নিয়ে আমার কোনো মন খারাপ হয় না। মন খারাপ করলে আমি এই কাজগুলো করে আমেরিকায় এসেও আমি এত এত কাজ করতে পারতাম না। আমার তাহলে চুপ হয়ে বসে থাকতে হতো।  আমি তিন মাসে আমি প্রায় ১৮ কেজি ওজন কমিয়েছি। এখন আমি পুরো ফিট একটা মানুষ। আমার শরীর এখন একদম ঝরঝরে। হয়তো জিম করছি, ডায়েট করতেছি। যে সমস্ত খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর, সেগুলো আমি খাই না । তো এই ডেডিকেশন কয়জনের আছে? কয়জন করতে পারবেন।


বাংলাদেশের খবর : দেশে ফেরার ইচ্ছা আছে কিনা- বা কবে নাগাদ ফিরতে চান?

জায়েদ খান : একটু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসুক। যে মব-বাহিনী এবং যে অনিরাপত্তা অনিশ্চয়তা শিল্পীদের। যে একটা অস্থিরতা আমি দেখতে পাচ্ছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এখন তো নিরাপত্তারও একটা বিষয়। আমি কাজ করতে যাবো। শো করতে যাবো- আমার নিরাপত্তা কে দিবে আমাকে? নিরাপত্তাহীনতায় পুরো আসলে গোটা দেশ । একটা দেশের পাথর নিরাপদ না মানুষ নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন মানুষ মরছে, লাশের মিছিল দেখছি। আমার মনে হয় এই জায়গাটা বন্ধ না হলে শিল্পীদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে গিয়ে আউটডোরে বা কোথাও কাজ করা বিপদ তো। যার কারণে আমার মনে হয়েছে দেশে স্থিতিশীলতা অবশ্যই দেশে ফিরবে।  বাবা-মা’র কবরকে মিস করি। খুবই মন টানছে। যত দ্রুত সম্ভব ইনশাআল্লাহ আমি দেশে ফিরবো। 

বাংলাদেশের খবর : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে আপনাকে ট্রল করে অনেকেই নেতিবাচক একটা কথা বলে- আপনাকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ তকমা দেয়। অনেকেই বলে যে ফ্যাসিস্টের দোসর হওয়ার কারণে আপিনি দেশে ফিরতে পারছেন না, বিদেশে পালিয়ে আছেন- এরকম অনেকেই মন্তব্য করে- এগুলো নিয়ে আপনার কিছু বলার আছে কিনা? 

জায়েদ খান :  একটা দেশে একটা দল ক্ষমতায় থাকলে সবাই তার কাছে গেছে-আসছে, আমার কি কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ আছে কোথাও? বা আমি কি আমার শিল্পী সমিতির দায়িত্বকালে কোনও রাজনৈতিক তকমা দিয়ে কারো সাথে কোনও অন্যায় করেছি কিনা- আপনি দেখবেন। তাহলে যারা আজকে দেশ চালাচ্ছে তারা সবাই তো আওয়ামী লীগকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ এর সাথে একসঙ্গে ওঠাবসা করছে। তাহলে তো প্রতিটা ২০ কোটি মানুষই আওয়ামী লীগের দোসর। আপনি যখন একটা সংগঠন চালাবেন নেতৃত্বে থাকবেন- তাহলে তো সরকারের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকবে, ছবি থাকবে । সে দিয়ে তো আপনার মানুষকে বিচার করতে পারবেন না। আমি সরকারের এমন সুযোগ নিয়েছি কিনা, আমি কোন কাজ কাজ বাগিয়েছি কিনা- আমি কোন সরকারের প্লট নিয়েছি কিনা, আমি কোন সরকারি দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আমি কোনও একটা ছবি নিছি কিনা। আমি সরকারি কোনো মন্ত্রণালযয়ে কাজ পেয়েছি কিনা এগুলো দেখবেন- তাহলে না আপনি বলতে পারবেন । আর এখন একটা তকমা হয়ে গেছে- ‘দোসর’। তো এইটা বাজে। একটা সরকারের আমলে শিল্পীরা কি কাজ করবে না!। আবার যদি অন্য সরকার আসে তার সাথে কাজ করব না? আমরা সবার সাথেই তো কাজ করব। শিল্পীদের দল কি? শিল্পীরা তো সবার। সরকার  আমাকে ডাকবে আমি যাব না। তাই যদি হতো তাহলে আমি কেন শিল্পী সমিতির নির্বাচিত হয়েও দায়িত্ব নিতে পারলাম না। আমার যদি এতোই ক্ষমতা থাকতো। আমার কেন কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরতে হলো?  আমি তো আমি চেয়ারটাতেই বসতে পারলাম না। আমার অধিকার থেকে আমি বঞ্চিত হলাম। তো আমি কোন দলের বিরুদ্ধে কোনো বিশোদগার করেছি কখনো? কোথাও কোনোদিন পাবেন এমন কিছু যে-ইউটিউবে বা কোথাও আমার রাজনৈতিক কোনও দলের বিরুদ্ধে কোনও কথা আছে কিনা? আমি কোন দল সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেছি? আছে কোথাও? আমার কাছে কোন দল ছিল না। আমার কাছে মনে হয়েছে শিল্পী মানে শিল্পেই। আমি সবাইকে নিয়ে পথ চলেছি। আমার মনে হয় শিল্পীরা কোনও বেরিয়ার নাই। শিল্পীদের জাত একটাই, তারা মানুষকে বিনোদন দেয়।

বাংলাদেশের খবর : শেষ প্রশ্ন, আপনার ভক্তরা জানতে চায়- জায়েদ ভাই বিয়ে করবে কবে? আমরা বিয়ের দাওয়াত খাবো কবে?

জায়েদ খান: এটা আসলে ডিপেন্ড করছে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশের উপরে। জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে আল্লাহর হাত দিয়ে তো। যেহেতু এখন আমেরিকাতে আছি, আমার ভাইবোন সব দেশে। এখনই হুট করে এখানে বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনা নাই। আর আপনারা যেহেতু সবাই আমাকে ভালোবাসেন । সাংবাদিক মহলে আমার একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমি সবাইকে নিয়ে লুকোচুরি না করে জানিয়েই বিয়ে করতে চাই। আমি সব সময় বলি যে বিয়ের জন্য ম্যাচিউরিটি দরকার- যার সাথে আমার সারা জীবন থাকতে হবে। সেই ম্যাচিউরিটি এখনো আমার মাথায় নাই। যখন মনে হবে যে কাউকে দরকার, তখন অবশ্যই আপনাদেরকে জানিয়ে ঘটা করে বিয়ে করব। 

বাংলাদেশের খবর : ঠিক আছে ভাই। আমরা প্রতীক্ষায় রইলাম। আর সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

জায়েদ খান : থ্যাংক ইউ। আপনাকেও ধন্যবাদ।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বিনোদন জায়েদ খান

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর