-68ada962b2ab0.jpg)
২০১৫ সালে ইউটিউব যাত্রা শুরু করেছিলেন তরুণ কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। প্রথমদিকে প্রাঙ্ক ভিডিও আর ছোট ছোট কমেডি কনটেন্ট দিয়েই আলোচনায় আসেন। ২০১৬ থেকে নিয়মিত ভ্লগ করতে থাকেন তিনি। এক বছরের মাথায় জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে যায় যে, শীর্ষ ইউটিউবারদের তালিকায় চলে আসেন তিনি। বর্তমানে তার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৬৩ লাখের বেশি।
তবে ক্যারিয়ারের এই সাফল্যের পাশাপাশি বারবার বিতর্ক ও আলোচনায় এসেছেন আফ্রিদি। দীর্ঘ ১০ বছরের যাত্রায় তার আলোচিত-সমালোচিত ঘটনাগুলো নিয়েই আজকের এই আয়োজন:
মডেল ও অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির সঙ্গে তৌহিদ আফ্রিদিকে প্রায়ই দেখা যেত। তাদের একসঙ্গে আড্ডার ছবি, ইউটিউব ভিডিও এবং কিছু রোমান্টিক ভঙ্গির ছবিও ভাইরাল হয়েছিল। অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, তারা প্রেম করছেন। বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হতো। তবে দীঘি বারবার বলেছেন— সম্পর্কটা শুধুই বন্ধুত্বের, প্রেম নয়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আফ্রিদি সব সময় ভালো বন্ধু ছিল, আছে, থাকবে।’
বাংলাদেশি ইউটিউবার হিসেবে তিনি কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক দেবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন। দেবকে নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার ও ভ্লগে তাকে মামা বলে সম্বোধন করেন আফ্রিদি। দেবও সেসময় মজা করে বলেন, ‘তুমি শুধু বাংলাদেশে নও, আমাদের এখানেও জনপ্রিয়।’ সেই ভিডিও কোটি দর্শক দেখেছিল এবং তখন থেকেই আফ্রিদির পরিচিতি নতুন মাত্রা পায়।
যখন দেশে ইউটিউবারদের সংখ্যা খুব কম, তখনই সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সক্ষম হন আফ্রিদি। এক বছরের মাথায় তার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার এক লাখ ছাড়ায়, আর মাত্র দুই বছরের মধ্যে দশ লাখে পৌঁছে যান। যুক্তরাজ্য থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে তিনি ইউটিউবে পুরোপুরি মন দেন। তখন থেকেই তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে বড় অনুপ্রেরণায় পরিণত হন।
গত বছর তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের কিছু ছবি হঠাৎই ভাইরাল হয়। তখন গুঞ্জন ওঠে, তিনি নাকি শ্যালিকা রাইসাকে বিয়ে করেছেন। পরে জানা যায়, আসল কনে হলেন রিসা, যিনি রাইসার যমজ বোন। এই ঘটনাকে ঘিরে রাইসাকে সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। রাইসা নিজেই গণমাধ্যমে বলেছিলেন, বিষয়টি পুরোপুরি ভুল বোঝাবুঝি, যা তার ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
২০২৩ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশের অনেকেই সরব থাকলেও তৌহিদ আফ্রিদির নীরবতা প্রশ্নের মুখে পড়ে। এর আগে তাকে ডিবি পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দেখা গিয়েছিল, যা নিয়েও সমালোচনা হয়। পরে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যেখানে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার কথা লিখলেও শিক্ষার্থীরা সেটিকে ভাঁওতাবাজি হিসেবে আখ্যা দেন। এই ঘটনা তাকে আবারও সমালোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
তৌহিদ আফ্রিদির ইউটিউব যাত্রা যেমন সাফল্যে ভরপুর, তেমনি আলোচিত ঘটনাতেও পূর্ণ। দীঘির সঙ্গে বন্ধুত্ব, দেবকে মামা ডাকা, মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার, বিয়েকে ঘিরে বিতর্ক কিংবা কোটা আন্দোলনে রহস্যময় ভূমিকা— সবকিছু মিলিয়ে তিনি এক দশকে হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ইউটিউবারদের একজন।