Logo

বিনোদন

চিরবিদায় নিলেন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন

Icon

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৪৬

চিরবিদায় নিলেন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন

লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

ফরিদা পারভীনের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, সপ্তাহে দুই দিন তাকে ডায়ালাইসিস করাতে হতো। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি চলে যান না–ফেরার দেশে।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। সংগীতজীবনে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয় তার। পারিবারিক সূত্রেই গানের ভুবনে আসা; বাবার সংগীতপ্রেম ও দাদির গান করার অভ্যাস থেকে তিনি অনুপ্রাণিত হন। বাবার চাকরির সুবাদে শৈশবে বিভিন্ন জেলায় বেড়ে উঠতে হয় তাকে।

মাগুরায় অবস্থানকালে ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে তার সংগীতের হাতেখড়ি হয়। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তালিমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। সংগীতজীবনের শুরুতে নজরুলসংগীত ও আধুনিক গান গাইলেও জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি লালন সাঁইয়ের গান গেয়েছেন।

লালন সাঁইয়ের গান জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে ফরিদা পারভীনের অবদান সর্বজনস্বীকৃত। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তিনি লালনের গান ছড়িয়ে দেন। জাপান, সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহু দেশে লালনসংগীত পরিবেশন করেছেন তিনি।

লালনসংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন।

লালনশিল্পী হিসেবেই তিনি সর্বাধিক পরিচিত হলেও তার কণ্ঠে একাধিক আধুনিক ও দেশাত্মবোধক গান জনপ্রিয় হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘তোমরা ভুলে গেছ মল্লিকাদির নাম’, ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলা গান

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর