Logo

বিনোদন

ফেসবুকে আগুন ধরালেন লালে লাল জয়া

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০১

ফেসবুকে আগুন ধরালেন লালে লাল জয়া

২০২৫ সাল যেন একের পর এক সাফল্যে ভরিয়ে দিচ্ছে জয়া আহসানকে। বাংলাদেশ ও ভারত— দুই দেশেই তার অভিনীত একাধিক ছবি মুক্তি পেয়েছে ইতিমধ্যেই। দর্শকরা পেয়েছেন তাণ্ডব, উৎসব, ডিয়ার মা এবং পুতুল নাচের ইতিকথার মতো ছবির ভিন্ন স্বাদ। এবার আসছে আরেকটি বহুল প্রতীক্ষিত কাজ— ‘ফেরেশতে’।


মুক্তির আগে ভিন্ন রূপে নিজেকে হাজির করেছেন জয়া। সম্প্রতি ফেসবুকে নতুন কিছু ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন— ‘ক্রিমসন অবসেশন’। লাল পোশাকে তার সেই ছবি ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস তুমুল, যেন ফেসবুকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন জয়া। কেউ লিখেছেন, ‘অসাধারণ, দারুণ লেগেছে।’  আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘প্রতিটি ছবিই যেন একেকটা গল্প, যা আমাদের টেনে নেয় ভেতরে।’


এদিকে জয়ার ফেরেশতে ১২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে ছবিটি পিছিয়ে আনা হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর। প্রেক্ষাগৃহসংক্রান্ত জটিলতার পাশাপাশি পূজার উৎসবকে সামনে রেখে তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ছবিটি দেশের সব সিনেপ্লেক্সেই একযোগে মুক্তি পাবে।


প্রায় তিন বছর ধরে এই ছবির মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকরা। বারবার সংবাদকর্মীদের কাছ থেকেও একই প্রশ্ন শুনতে হতো জয়াকে— ‘কবে আসছে ফেরেশতে?’  অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।


ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত ছবিটি সমাজের প্রান্তিক মানুষের সংগ্রামের গল্প। বাস্তব লোকেশনে শুটিং হওয়ায় ছবিটিতে এসেছে স্বতঃস্ফূর্ততা ও জীবন্ত আবহ। জয়া আহসান বলেছেন, এটি তার কাছে ছিল এক কঠিন কিন্তু স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। তার ভাষায়, ‘আমাদের দেশের অবহেলিত মানুষের ভেতরে যে লড়াকু মানসিকতা আছে, সেটিই আমি চরিত্রে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। টিমের সবার সহযোগিতা না পেলে হয়তো সম্ভব হতো না।’


এরই মধ্যে জয়া ভক্তদের দিয়েছেন আরেকটি বড় খবর। তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয়বারের মতো জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার জন্য যেমন সম্মান, তেমনি বিশাল দায়িত্বও। ২০২২ সালে শুরু হওয়া এই যাত্রায় আমি সব সময় চেষ্টা করেছি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে। এবার ২০২৭ সাল পর্যন্ত আমি আরও শক্তভাবে কাজ করতে চাই দারিদ্র্য হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন আর জেন্ডার সমতার মতো বিষয়ে।’


জয়ার বিশ্বাস— এই লক্ষ্য অর্জন কেবল একজন শিল্পীর নয়, বরং সবার যৌথ প্রতিশ্রুতি। তার আশা, একসঙ্গে কাজ করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তৈরি হবে ন্যায্য ও টেকসই এক সমাজ।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর