Logo

বিনোদন

‘আমার সিনেমার বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট’

একান্ত সাক্ষাৎকারে সুজন বড়ুয়া

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ২১:০৭

‘আমার সিনেমার বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট’

আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে সুজন বড়ুয়া পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘বান্ধব’। মুক্তির আগেই সিনেমাটির গল্প নকলের অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের খবরের সঙ্গে কথা বললেন সুজন বড়ুয়া। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুদীপ্ত সাইদ খান।

বাংলাদেশের খবর :  আপনার ‘বান্ধব’ সিনেমার বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ উঠেছে। কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ দাস অভিযোগ জানিয়েছেন, তার লেখা ‘মানুষ’ গল্পটি থেকে সিনেমাটি নির্মিত হলেও তার অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকি গল্পের ক্রেডিট লাইনে তার নামও দেননি...

সুজন বড়ুয়া : উনি কি আমার সিনেমা দেখেছেন। সিনেমা না দেখেই কিভাবে বললেন যে আমরা তার গল্প চুরি করেছি।  দেখেন, আমার সিনেমা তো মুক্তিই পায়নি। উনি কিভাবে জানলেন যে, আমি তার গল্প নকল করেছি। এটা একটা মিথ্যা এবং বানোয়াট অভিযোগ।

বাংলাদেশের খবর : ট্রেইলার দেখে উনি বলেছেন...

সুজন বড়ুয়া : ট্রেইলার দেখে হয়তো সামান্য মিল তিনি পেয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু তার মানে এই না যে আমি তার গল্প চুরি করেছি। কারণ আমি তো ওনারে চিনিই না। আমি ওনার গল্পও পড়ি নাই। নিউজে যেটা জানলাম, উনি দিনাজপুরের একটা কলেজের সহকারি অধ্যাপক। উনি শিক্ষক মানুষ, শ্রদ্ধাভাজন লোক- কিন্তু ওনার সঙ্গে তো আমার দেখায় হয়নি। আর পৃথিবীতে সব গল্পই তো মোটামোটি বলা হয়ে গেছে। কোন গল্পের সাথে হয়তো বা কিছুটা মিল থাকতে পারে কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি তার পুরো গল্প চুরি করেছি।


বাংলাদেশের খবর : তার মানে এই গল্প মৌলিক গল্প?

সুজন বড়ুয়া : হ্যাঁ। এই গল্প আমি চিন্তা করেছি সেই ২০০৬/০৭ সালে, আমি যখন নাটক বানাতাম। তখন গল্পটা আমার মাথায় এসেছিল। কিন্তু এই গল্প নিয়ে কাজ করার মতো যোগ্যতা তখন আমার তৈরি হয়নি। একটা বড় ফিল্ম বানানোর জন্য আমি সময় নিয়েছি। তারপরে ২০১৪/১৫ সালের দিকে আমি সিনেমা বানানোর জন্য প্রযোজক খুঁজতে থাকি। ২০১৬ সালের দিকে আমি প্রোডিউসার-এর সাথে বসলাম। প্রোডিউসারকে গল্প শোনালাম। তারপর সব ঠিকঠাক হলে ২০০১৭ সালের দিকে আমি শুটিং শুরু করি। 

শুটিং শুরু হওয়ার পর থেকে আমার গল্পটি নিয়ে একাধিক নিউজ হয়েছে। এর আগেও সিনেমাটি রিলিজ করার জন্য চার থেকে পাঁচবার ডেট ঠিক হয়েছিল। তখনও প্রচুর গণমাধ্যমে নিউজ হয়েছে। কিন্তু এখন ছবিটা রিলিজ হওয়ার সময় এসে এমন অভিযোগ উঠল। আমি বুঝতে পারছি না, এসব কোথা থেকে এমন অভিযোগ আসছে, কি আশয়-বিষয়, কিছুই বুঝছি না

বাংলাদেশের খবর : কিন্তু ওই লেখক বলেছেন ২০০৯ সালে গল্পটি তিনি ‘মৌচাকে ঢিল’ ম্যাগাজিনে পাবলিশড করেছিলেন....

সুজন বড়ুয়া: সেই গল্প তো আমরা জানি না আমরা তো তার সেই গল্প পড়ি নাই। ওনার গল্প কোথায় প্রকাশ হয়েছে, কি আশয়-বিষয় তাতো আমি জানি না। আমার গল্পটা তো  ২০১৭ সালে শ্যুটিং শুরু হওয়ার পর থেকে প্রচুর গণমাধ্যমে নিউজ এসেছে। ২০১৯ সালের দিকে রিলিজের ডেট ঠিক হয়েছিল। তখনও নিউজ হয়েছে। এখন এই মুহূর্তে এসে এই  ধরনের একটা নিউজ আমার কাছে আসলেই দুঃখজনক এবং কষ্টকর একটা ব্যাপার- একজন নির্মাতা হিসাবে।


বাংলাদেশের খবর : তো তার সেই অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কিনা বা ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে আপনি যোগাযোগ করেছেন কিনা?

সুজন বড়ুয়া :  না। আমি ওনারা  তো চিনি না-জানি না। ওনারে কোথায় পাবো আমি। ওনার কোনো কন্টাক্টই আমার কাছে নেই। 

এসএসকে/

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বিনোদন চলচ্চিত্র

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর