শাকিবের সিনেমা নিয়ে যে হাইপ তোলা হয়, তা আসলে ভুয়া : ইকবাল
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১৩
চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক মো. ইকবাল আবারও সরাসরি মন্তব্য করে আলোচনায়। জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানকে ঘিরে যে প্রচারণা বা হাইপ তৈরি করা হয়, সেটি আসলে ‘বাস্তবতার প্রতিফলন নয়’— এমন দাবি তুলেছেন এই নির্মাতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ইকবাল বলেন, ‘আমি যা বলি সত্য বলি, মিথ্যা বলি না। ‘প্রিয়তমা’র পর শাকিব খানের কোনো সিনেমাই ব্যবসা করেনি। শাকিবের সিনেমা নিয়ে যে হাইপ তোলা হয়, তা আসলে ভুয়া। তাকে নিয়ে যে হৈচৈ, তা মূলত ভাড়া করা হাইপ— ইউটিউব আর ফেসবুক গ্রুপে টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়। বাস্তবে কিন্তু সেই সিনেমাগুলো লোকসানেই পড়ে।’
ইকবাল আরও অভিযোগ করেন, শাকিব খানকে ঘিরে কাজ করা অনেক পরিচালক মৌলিক গল্পে কাজ না করে নকল স্ক্রিপ্টে নির্ভর করেন।
তার ভাষায়, ‘যাদের ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ফার্স্ট ক্লাস ডিরেক্টর’ বলা হয়, তারা হিন্দি, তামিল, তেলেগু সিনেমা থেকে টুকরো করে গল্প নেয়। তারপর প্রচার করে বিশাল কিছু বানিয়েছে! কিন্তু দর্শক এখন বুদ্ধিমান— তারা বুঝে ফেলে কোনটা কপি, কোনটা আসল। তাই সিনেমা কিছু টাকা তুললেও, আসলে লাভের মুখ দেখে না।’
এই প্রযোজক মনে করেন, চাটুকার চলচ্চিত্রকর্মীদের কারণেই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন নায়ক তৈরি হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘যেসব পরিচালকরা শাকিবের চারপাশে ঘোরে, তারা নিজেরা মেধাবী হয়েও তাকে ঘিরে ‘চামচামি’ করে। এতে নতুন মুখ উঠে আসার সুযোগ পায় না। ফলে এক নায়কনির্ভর অবস্থা তৈরি হয়েছে, যা সিনেমা শিল্পের জন্য ভালো না।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ইকবাল জানান, তিনি শিগগিরই অনন্ত জলিলকে নিয়ে নতুন একটি ছবি শুরু করতে যাচ্ছেন।
তার ভাষায়, ‘দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখন খুব স্থিতিশীল না, তাই একটু সময় নিচ্ছি। তবে অনন্ত জলিলকে নিয়ে কাজ করার প্রস্তুতি চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই ঘোষণা দেব।’
বর্তমানে কয়েকজন নায়ক বিদেশে থাকলেও এতে চলচ্চিত্রে তেমন প্রভাব পড়ছে না বলে মনে করেন ইকবাল, ‘যারা বিদেশে গেছেন, তারা গত ১৫ বছরেও ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেননি। তাই তাদের অনুপস্থিতিতে তেমন ক্ষতি হচ্ছে না’।
এছাড়া এখন যখন হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখন বড় বাজেটের সিনেমা দিয়ে ব্যবসা করা কঠিন বলে মনে করেন তিনি। ‘মনিহার’ এর মতো হল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কোটি টাকার সিনেমা বানিয়ে লাভের মুখ দেখা সত্যিই কঠিন’ — যোগ করেন ইকবাল।
ডিআর/এসএসকে

