বাংলার লোকজ ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় ‘বেহুলা-লখিন্দর’-এর কাহিনি। একসময় টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলায় এই কাহিনিকে ঘিরে আয়োজন হতো গীতিনাট্য ‘বেহুলা নাচারি পালা’, যা ছিল গ্রামীণ বিনোদনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। সময়ের আবর্তে আজ সেই পালাগান বিলুপ্তপ্রায়। ঠিক এই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকেই আধুনিকভাবে বড় পর্দায় ফিরিয়ে আনতে নির্মিত হয়েছে নতুন সিনেমা ‘বেহুলা দরদী’।
সবুজ খানের পরিচালনায় নির্মিত ছবিটি শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মুক্তি পেয়েছে দেশের নয়টি প্রেক্ষাগৃহে। পরিচালক জানান, বর্তমানে লায়ন সিনেমাস, গ্র্যান্ড রিভারভিউ, ম্যাজিক মুভি থিয়েটার, সুগন্ধা সিনেমা হল, মাধবী, নবীব, বনুতা, মিলন ও রাজ সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে ছবিটি।
গল্পে দেখা যাবে— নাগবাড়ি এলাকার ‘বেহুলা নাচারি দল’-এর প্রধান ভোলা মিয়া তার দলটিকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে লিপ্ত। একসময় এই দলটি সুনাম অর্জন করলেও পরপর কয়েকটি ইউনিয়নভিত্তিক প্রতিযোগিতায় হেরে সম্মান হারায় তারা। দলটিকে আবার ঘুরে দাঁড় করাতে ভোলা মিয়া প্রাণপণ চেষ্টা চালান। সেই সংগ্রাম, ভালোবাসা আর লোকসংস্কৃতির মেলবন্ধনেই এগিয়েছে ‘বেহুলা দরদী’-র গল্প।
ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, প্রাণ রায়, সূচনা সিকদার, ইমরান হাসো, আজিজুন মীম, আশরাফুল আশীষ, আফফান মিতুল ও সানজিদা মিলা।
পরিচালক সবুজ খান বলেন, ‘এই সিনেমার মাধ্যমে আমরা হারিয়ে যেতে বসা এক সংস্কৃতিকে নতুনভাবে দর্শকের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছি। ‘বেহুলা নাচারি’ শুধু একটি লোকজ পালা নয়, এটি আমাদের শিকড়, আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। আশা করছি, দর্শক সিনেমাটির ভেতরে সেই গ্রামীণ আবহ অনুভব করবেন।’
লোকসংস্কৃতির আবহে নির্মিত ‘বেহুলা দরদী’ যেন এক নস্টালজিক যাত্রা— যেখানে দর্শক ফিরে যাবেন সেই সময়ের গল্পে, যখন গ্রামের মঞ্চে আলো জ্বলত, ঢোলের তালে বেজে উঠত ‘বেহুলা নাচারি’-র সুর।
ডিআর/এসএসকে

