ভুয়া মামলার অভিযোগে বিস্মিত মেহজাবীন, নেবেন কঠোর আইনি পদক্ষেপ
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:১২
পারিবারিক ব্যবসায় অংশীদার করার আশ্বাস দিয়ে ২৭ লাখ টাকা নেওয়া, পাশাপাশি হুমকি–ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার নির্ধারিত তারিখে আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানাতে আগামী ১৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে মেহজাবীন চৌধুরীর নামে করা মামলার খবরকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি। রোববার বিকেলে নিজের ফেসবুকে এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন জনপ্রিয় এই তারকা।
মেহজাবীন বলেন, একটি ভুয়া ও মিথ্যা মামলার সংবাদ দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। বিষয়টিকে তিনি সম্পূর্ণ গুজব ও অসত্য বলে উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, ‘এই ধরনের কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত নই। যারা এমন ভিত্তিহীন মামলা করেছেন, তাদের কাউকে আমি চিনি না।’
তিনি আরও জানান, অভিনয় ও পেশাগত দায়িত্ব ছাড়া অন্য কোনো কাজ তিনি করেন না এবং কোনো ব্যবসায়িক লেনদেনে জড়িত নন, যেখানে আইনি জটিলতার প্রশ্ন উঠতে পারে।
একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে দেশের আইন-কানুন ও সামাজিক দায়িত্বে তার অটল বিশ্বাসের কথা জানিয়ে মেহজাবীন বলেন, ইতোমধ্যে তার আইনজীবী গুজব ও মিথ্যা প্রচারণা ঠেকাতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
গত এক যুগ ধরে মিডিয়ায় নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করে আসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দর্শক, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরাই তার কাজের প্রকৃত সাক্ষী।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রচার না করতে। একই সঙ্গে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি মন্তব্য করেন, “আপনাদের ভালোবাসা ও আস্থাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সত্যের পাশে থাকুন।”
এই ঘটনার পর মেহজাবীনের অবস্থান পরিষ্কার হলেও মামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে মামলার নথি অনুযায়ী জানা যায়, বাদী আমিরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে মেহজাবীন তাকে নতুন পারিবারিক ব্যবসায় পার্টনার করার প্রলোভন দেখান। বিভিন্ন সময় নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ২৭ লাখ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় বাদী টাকা ফেরত চাইলে নানান অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন আসামিরা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি টাকা চাইতে গেলে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করতে বলা হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে বাদী মেহজাবীন, আলিসান ও আরও কয়েকজনের কাছ থেকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি-ধামকির শিকার হন। তাকে হুমকি দেওয়া হয়— আর কখনও তাদের বাসায় টাকা চাইতে গেলে ‘জানে মেরে ফেলা হবে।’
এ ঘটনার পর ভাটারা থানায় গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে বাদী ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭(৩) ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এসএসকে/

